শার্লেরইয়ের সেই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
আরও বড় রকমের জঙ্গি হামলা হতে যাচ্ছে বেলজিয়ামে?
এ বার কি বেলজিয়ামের পরমাণু কেন্দ্রও উড়িয়ে দেওয়ার ফন্দি এঁটেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা?
সে রকমই সন্দেহ বেলজিয়ামের পুলিশের।
কারণ, ব্রাসেলস বিমানবন্দর ও মেবেলিয়েক মেট্রো স্টেশনে পর পর বিস্ফোরণের ঘটনার দু’দিন পরেই শার্লেরইয়ে পরমাণু কেন্দ্রের এক নিরাপত্তীরক্ষীকে গুলি করে খুন করা হয়। আর তার পর তার সিকিওরিটি পাসটি নিয়ে উধাও হয়ে যায় আততায়ীরা।
বেলজিয়ামের পুলিশের ধারণা, মৃত নিরাপত্তারক্ষীর ওই সিকিওরিটি পাসটি নিয়ে পরমাণু কেন্দ্রে ঢুকে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক কষেছে আইএস জঙ্গিরা। এও হতে পারে, জঙ্গিরা ওই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় জ্বালানি হাপিশ করে দিতে চায়। সেই তেজস্ক্রিয় জ্বালানি জঙ্গিরা আরও বড় কোনও হামলার ঘটনায় কাজে লাগাতে পারে।
আরও পড়ুন- মুসলিম উদ্বাস্তুদের পা ধুয়ে দিয়ে শান্তি-বার্তা পোপের
ব্রাসেলসে ফরাসি ভাষার একটি দৈনিক ‘দ্যর্নিয়ের হিওর’-এ ওই খবরটি বেরনোর পর রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ব্রাসেলসে। রাজধানী শহর সহ বেলজিয়ামের বেশ কয়েকটি এলাকায় জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট।
বেলজিয়ামের পুলিশ জানাচ্ছে, আইএস জঙ্গিরা হয়তো ব্রাসেলসের বিমানবন্দর আর মেট্রো স্টেশনে হানাদারির পর পরই শার্লেরইয়ে ওই পরমাণু কেন্দ্রেও বিস্ফোরণ ঘটানোর কথা ভেবেছিল। তাতে বেলজিয়ামকে আরও বড় ধাক্কা দেওয়া যেত। কিন্তু, বিমানবন্দর আর মেট্রো স্টেশনে উপর্যুপরি হামলার পর যে ভাবে বেলজিয়াম জুড়ে সেনা ও পুলিশের ব্যাপক তল্লাশি শুরু হয়ে যায়, তাতে সেই কাজ অসম্পূর্ণ রেখে সম্ভবত বাধ্য হয়েই বেলজিয়াম ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছে আইএসের আত্মঘাতী জঙ্গিরা।
কিন্তু যে বেলজিয়ামে এক সময় গোপনে আশ্রয় আর অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিত জঙ্গিরা, সেই দেশটিকেই কেন তাদের আক্রমণের নিশানা করে তুলল আইএস?
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নভেম্বরে প্যারিস হামলার ঘটনার পর থেকেই বেলজিয়াম আইএসের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমে পড়ায়, ব্রাসেলস এখন অন্যতম প্রধান টার্গেট হয়ে উঠেছে আইএসের।