লড়াই সিরিয়ায়, উত্তাল হামবুর্গও

দেশের অর্ধেকের বেশি দখল করে রেখেছে জঙ্গিরা। সেনাবাহিনী লড়াই চালিয়ে গেলেও জঙ্গিদমনে কিছুতেই পুরোদস্তুর সাফল্য পাচ্ছে না সিরিয়া সরকার। সকাল-বিকেল পতাকা উড়িয়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা ঘোষণা করছে জঙ্গিগোষ্ঠী। এত দিন ফতোয়ার সন্ত্রাসে বাধ্য হয়েই জঙ্গিদের বশ্যতা স্বীকার করছিলেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হামবুর্গ ও দামাস্কাস শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০২:১৩
Share:

হামবুর্গের রাস্তায় বিক্ষোভকারী-পুলিশ সংঘর্ষ। ছবি: এএফপি।

দেশের অর্ধেকের বেশি দখল করে রেখেছে জঙ্গিরা। সেনাবাহিনী লড়াই চালিয়ে গেলেও জঙ্গিদমনে কিছুতেই পুরোদস্তুর সাফল্য পাচ্ছে না সিরিয়া সরকার। সকাল-বিকেল পতাকা উড়িয়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা ঘোষণা করছে জঙ্গিগোষ্ঠী। এত দিন ফতোয়ার সন্ত্রাসে বাধ্য হয়েই জঙ্গিদের বশ্যতা স্বীকার করছিলেন সাধারণ মানুষ। এই প্রথম জঙ্গি-আগ্রাসনে বাধ সাধলেন সিরিয়ার সীমান্তবর্তী শহর কোবানের কুর্দ সম্প্রদায়ের মানুষ। কুর্দদের সমর্থনে বিক্ষোভের আগুন ছড়াল ইউরোপেও। জার্মানির বার্লিন, হামবুর্গ ছাড়াও ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে কুর্দদের সমর্থনে কাল রাতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

Advertisement

আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া)-র সঙ্গে সিরিয়ার সেনা ও কুর্দ বাহিনীর লাগাতার লড়াইয়ে এক প্রকার কোণঠাসা হয়েই সপ্তাহখানেক আগে সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তবর্তী শহর কোবানে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। তার পর থেকেই চলছে যুদ্ধ। শহরকে জঙ্গি-মুক্ত করতে সেনাবাহিনীকে সব রকম ভাবে সাহায্য করছেন কোবানের মানুষ। বেআইনি ভাবে মজুত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একেবারে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছেন অনেকে। সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে পড়শি তুরস্কও। পুলিশি ব্যারিকেডের তোয়াক্কা না করে সীমান্তের কাঁটাতার ছিঁড়ে সিরিয়ায় ঢোকার চেষ্টা করেন সেখানকার বহু মানুষ। লক্ষ, কোবান পুনরুদ্ধার।

হামবুর্গের মতো জামার্নির বেশ কয়েকটি শহরে কুর্দ সম্প্রদায়ের বহু মানুষ বাস করেন। গতকাল রাতে আইএসআইএস জঙ্গিদের হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন তাঁরা। ধর্মস্থানের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিবিরোধী মিছিলে ভিড় বাড়তে থাকায় হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ জলকামান চালালে ১৪ জন আহত হন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকেও কুর্দ-বিক্ষোভের খবর পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, সিরিয়ার বেশিরভাগটা আইএসআইএস-এর নিয়ন্ত্রণে চলে গেলেও কোবানের দখল নিয়ে লড়াইয়ের বড় কারণ শহরটির ভৌগলিক অবস্থান। সিরিয়ার রুক্ষ-পার্বত্যভূমি শেষ হয়ে যায় কোবানের কাছে। কোবান পেরোলেই তুরস্কের সমতল। স্বাভাবতই, কোবানে জঙ্গিঘাঁটি তৈরি হলে আশপাশের দেশে ঢুকতে ঘাম ঝরাতে হবে না জঙ্গিদের। তার উপর, কুর্দ বাহিনীর কয়েকজন সেনাকে ইতিমধ্যেই হত্যা করেছে জঙ্গিরা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে জঙ্গিদের এক চুল জমিও ছাড়তে নারাজ কুর্দরা। সম্প্রতি কোবানের জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বিমান। আইএসআইএস জঙ্গিদের সঙ্গে আজও কোবানে লাগাতার লড়াই চালিয়েছে সিরিয়ার সেনা। কুর্দ সম্প্রদায়ের মানুষও সমান তালে লড়াই চালাচ্ছেন। কুর্দ বাহিনীর এক মুখপাত্রের কথায়, “প্রাণ বাজি রেখে কোবানের জন্য লড়ছেন মানুষ। আজ না হোক কাল, জঙ্গিদের হার মানতেই হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement