(বাঁ দিক থেকে) মুহাম্মদ ইউনূস ও বিল ক্লিন্টন । —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনা-বিরোধী ছাত্রবিক্ষোভ কোনও হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা নয়। বরং পরিকল্পিত এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ একটি আন্দোলন। আমেরিকায় দাঁড়িয়ে এমনই জানালেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তথা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস। এই আন্দোলনের নেপথ্যে থাকা মাথার নামও প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দিয়ে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন ইউনূস। ‘ক্লিন্টন গ্লোবাল ফাউন্ডেশন’-এর একটি আলোচনাসভায় যোগ দেন তিনি। ইউনূসের সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন। বাংলাদেশের পড়ুয়াদের ধন্যবাদ জানিয়ে ইউনূস বলেন, “তাঁরা তাঁদের বক্তব্য, ত্যাগ এবং সঙ্কল্পের মাধ্যমে গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছেন।” আন্দোলনের পরিকল্পনার কথা ব্যাখ্যা করে নোবেলজয়ী বলেন, “এমন ভাবে এটিকে সংগঠিত করা হয়েছিল, যাতে কোনও নেতার দিকে অতিরিক্ত নজর না পড়ে। কিংবা কোনও এক জন নেতাকে গ্রেফতার না করা যায়।” একই সঙ্গে ইউনূস বলেন, “হঠাৎ বাংলাদেশের ছাত্রযুবরা একজোট হল আর বলল, অনেক হয়েছে, আর নয়।”
গোটা আন্দোলনের নেপথ্যে তাঁর বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের অবদানের কথা স্বীকার করেছেন ইউনূস। তাঁর মতে, আন্দোলনের নেপথ্যে থাকা মাথা মাহফুজই। ইউনূস মাহফুজের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, “গোটা বিষয়ে ওঁর মাথা ছিল।”
কোটা সংস্কার বিরোধী আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে বিমানে ঢাকা থেকে উত্তরপ্রদেশের হিন্দন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে চলে এসেছিলেন হাসিনা। সেই থেকে তিনি ভারতে রয়েছেন। অন্য দিকে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন ইউনূস।