বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মামুদ। ছবি সংগৃহীত।
কোনও দেশের সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন সেই অঞ্চলের রাজনৈতিক স্থিরতা। ভারত এই আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় রাখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিচ্ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মামুদ। এ ব্যাপারে মোদী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
আজ দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে মামুদ পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ কঠিন সময়েও আর্থিক বৃদ্ধি, মাথা পিছু আয়, গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের নিরিখে এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁর কথায়, “এই সমৃদ্ধি রাজনৈতিক সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়। আমরা ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ যে তারা আঞ্চলিক স্থিরতা বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেছে।” এ ক্ষেত্রে চিনের ভূমিকাকে কী ভাবে দেখছে বাংলাদেশ? মামুদের মন্তব্য, “চিন আমাদের অঞ্চলের (উপমহাদেশের) নয়।”
আগামী বছর বাংলাদেশে ভোট। তার আগে তিস্তা চুক্তির সম্ভাবনা খুবই কম। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশের মন্ত্রী বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শুধুমাত্র তিস্তা চুক্তির উপর নির্ভরশীল নয়। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অনেকগুলি দিক রয়েছে। তবে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়িত করার প্রক্রিয়া চলছে। ভারতের কিছু সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আশাকরি, সেই জট কাটলে শীঘ্রই চুক্তিতে সই হবে।”
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে দুর্গাপুজো এবার বেশি হয়েছে। আর দেশে কেউ সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাউকে সংখ্যালঘু মনে করেন না। সবাই একই দেশের মানুষ। বাংলাদেশে কেউ সংখ্যালঘু নন।’’
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে দ্রুত মায়ানমারে ফিরতে পারেন, সে জন্য ভারতের সাহায্য চেয়েছে বাংলাদেশ। আজ সে কথা ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন মামুদ। তিনি এদিন ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর আবেদনও করেছেন।