ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার দোষীদের আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কড়া নিরাপত্তায়।
ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড মামলায় পাঁচ অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দিল বাংলাদেশের আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে আরও এক অভিযুক্তকে। যে পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা হল— মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, জঙ্গিনেতা আকরাম হোসেন, আবু সিদ্দিকি ওরফে সাকিব, মোজাম্মেল হোসেন এবং আরাফত রহমান। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে শফিউর রহমান ফারাবিকে।
মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানি ছিল। সেই উপলক্ষে আদালত চত্বরে বিশাল নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সকাল ১০ নাগাদ আদালতে নিয়ে আসা হয় অভিযুক্তদের। বিচারপতি মহম্মদ মজিবুর রহমান ৫ অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন।
২০১৫-র ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কুপিয়ে খুন করা হয় অভিজিৎকে। হামলা চালানো হয় তাঁর স্ত্রী রফিদা আহমেদের উপরও। তিনি গুরুতর আহত হন। এই ঘটনায় অভিজিতের বাবা ঢাকার শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সরকারি আইনজীবী গোলাম সারওয়ার খান জানিয়েছেন, যে ৬ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে তারা আনসারউল্লা জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য। এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এক ডজনেরও বেশি ব্লগার এবং সমাজকর্মীকে খুনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি আরও জানান, মনে করা হচ্ছে বরখাস্ত সেনা মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এই জঙ্গিগোষ্ঠীর মূল নায়ক। এবং অভিজিতকে খুনের মূল চক্রী।