ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়কে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) আরও দুই সদস্যকে। নিজেদের আল কায়দার ভারতীয় শাখা সংগঠন বলে দাবি করে এবিটি। গত কাল রাতে ঢাকা থেকে এবিটি-র এই দুই জঙ্গিকে ধরেছে পুলিশ।
কউসর হোসেন খান এবং কামাল হোসেন সর্দার নামে ওই দুই জঙ্গিকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। নিলয় নীল নামে ব্লগে লেখালেখি করতেন নীলাদ্রি। গত ৭ অগস্ট তাঁকে তাঁর বাড়িতে ঢুকেই খুন করে জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’সপ্তাহ আগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই দু’জন অর্থাৎ সাদ আল নাহিন এবং মাসুদ রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই কউসর হোসেন এবং কামালের কথা জানতে পেরেছিল পুলিশ।
২৭-২৮ বছরের এই দুই জঙ্গিকে আগেও এক বার ধরা হয়েছিল। দু’বছর আগে আরও এক ব্লগার আসিফ মহীউদ্দিনকে খুন করার চেষ্টার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু এক বছর জেল খেটে তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়।
নিলয়কে নিয়ে বাংলাদেশে এ বছরে চার জন ব্লগারকে খুনের ঘটনা ঘটেছে। তা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে তীব্র সমালোচনাও চলছে। এর মধ্যেই আর এক ব্লগার এবং গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী শাম্মি হক নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে পুলিশে ডায়েরি করেছেন। ২৩ বছরের এই লেখকের অভিযোগ, তাঁকে বৃহস্পতিবার দুই যুবক অনেক ক্ষণ ধরে অনুসরণ করেছে। তাদের ছবি তিনি মোবাইলে তুলে পুলিশের কাছে দিয়েছেন। তা ছাড়া ফেসবুকেও তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শাম্মি। তিনি ডায়েরি করার পরে তাঁর এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ।
নিলয়ও খুন হওয়ার আগে বিপদ আঁচ করে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বলেছিলেন, তাঁকে কে বা কারা অনুসরণ করছে। কিন্তু কোনও সাহায্য পাননি বলে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন ফেসবুকে।