দুই মানচিত্র হাতে নিয়ে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ছবি: রয়টার্স।
এক হাতে ভারত-সহ মোট চারটি দেশ। অন্য হাতে ইরান-সহ চারটি দেশ। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার বার্ষিক অধিবেশনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে দুই মানচিত্র তুলে ধরলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ডান হাতের মানচিত্রে থাকা ইরান, ইরাক, সিরিয়া এবং ইয়েমেনকে চিহ্নিত করলেন ‘অভিশাপ’ হিসাবে। অন্য দিকে, ভারত, মিশর, সুদান এবং সৌদি আরবকে চিহ্নিত করলেন ‘আশীর্বাদ’ হিসাবে। পশ্চিম এশিয়ার টালমাটাল পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর এই প্রতিতুলনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
যে দেশগুলিকে নেতানিয়াহু ‘আশীর্বাদ’ বলে চিহ্নিত করেছেন, মানচিত্রে সেগুলিকে সবুজ রঙে দেখানো হয়েছে। আর ‘অভিশাপ’ বলে চিহ্নিত করা দেশগুলিকে কালো রঙে দাগানো হয়েছে। মানচিত্রে প্যালেস্টাইনের দুই বিতর্কিত ভূখণ্ড ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এবং গাজ়াকে ইজ়রায়েলের অংশ হিসাবে দেখানো হয়েছে। আবার সিরিয়ার গোলান ভূখণ্ডকেও নিজেদের মানচিত্রের অন্তর্ভুক্ত করেছে ইজ়রায়েল। এই দুই মানচিত্র প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই মনে করছেন, ইরান এবং প্যালেস্টাইনকে কোণঠাসা করতে আরব দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির উপরে জোর দিচ্ছে ইজ়রায়েল। পাশাপাশি বন্ধু হিসাবে নয়াদিল্লিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে হামলা চালায় প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এই হামলার পরেই নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল নয়াদিল্লি। অবশ্য তার পর দুই পক্ষের মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হলে ভারত বার বারই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব রেখেছে। নিজেদের পুরনো অবস্থান ধরে রেখে প্যালেস্টাইন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বার বার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে ভারত। অন্য দিকে, ইজ়রায়েলের সঙ্গে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে সরাসরি হামাসের পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান। তাদের মদতপুষ্ট লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজ়বুল্লার সঙ্গেই বর্তমানে যুদ্ধ চলছে ইজ়রায়েলের।