কৃষ্ণসাগরে ফের উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। ছবি: এএফপি।
ফের হাত বদল হল স্নেক আইল্যান্ড। ইউক্রেন সেনার ধারাবাহিক হামলার মুখে সামরিক অবস্থানগত দিক ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ কৃষ্ণসাগরের ওই দ্বীপ থেকে হটে যেতে বাধ্য হল রুশ ফৌজ। ছ’মাসের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এই ঘটনাকে ‘গুরুত্বপূর্ণ মোড়’ বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞেরা।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধের গোড়াতেই কৃষ্ণসাগরের ছোট্ট পাথুরে দ্বীপ জিমিনি (স্নেক আইল্যান্ড)-র দখল নিয়েছিল ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী। রুশ রণতরী আত্মসমর্পণের ‘বার্তা’ দিলেও তা অগ্রাহ্য করে দ্বীপরক্ষার অসম লড়াইয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন ইউক্রেনের ১৩ জন সীমান্তরক্ষী।
মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে স্নেক আইল্যান্ড-সহ কৃষ্ণসাগরের কয়েকটি রুশ নৌঘাঁটি দখলের জন্য অভিযান শুরু করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অনুগত বাহিনী। বস্তুত, তার মাস খানেক আগেই ইউক্রেন সেনার তৎপরতা বেড়েছিল কৃষ্ণসাগরে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রুশ রণতরী মস্কোভার সলিলসমাধির পর কিছুটা রক্ষণাত্মক অবস্থানে চলে গিয়েছিল রুশ সেনা। এ বার স্নেক আইল্যান্ড থেকে দ্বীপ সেনা প্রত্যাহারের পথে হাঁটল ক্রেমলিন।
মস্কোর তরফে অবশ্য এই সিদ্ধান্তকে ‘সদিচ্ছার নিদর্শন’ হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা দফতর জানিয়েছে, ইউক্রেনের বন্দরগুলি থেকে খাদ্য আমদানি-রফতানি পথ তৈরি করতে রাষ্ট্রপুঞ্জ যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে বাধা দেওয়ার কোনও অভিপ্রায় মস্কোর নেই, সে কারণেই সেনা প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত।