ভূমিকম্পের পর থেকে শতাধিক বার ‘আফটার শক’-এ কেঁপে উঠেছে তুরস্ক। ছবি: রয়টার্স।
তুরস্কে উদ্ধারকাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ভয়াবহ কম্পনের রেশ কাটিয়ে জীবনযাপন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি এখনও। তার মধ্যেই সোমবার আবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণ তুরস্ক। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। কম্পনের জেরে ভেঙে পড়েছে বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি। মৃত্যু হয়েছে এক জনের।
বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রের খবর, কম্পনের জেরে ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। ২৪টির বেশি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ইয়েসিলিউর্ট অঞ্চলের একটি বহুতলের ধ্বংস্তূপের নীচে বাবা ও মেয়েকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মালটিয়া অঞ্চলে ধ্বংস্তূপের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩ ব্যক্তিকে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের পর থেকে শতাধিক বার ‘আফটার শক’-এ কেঁপে উঠেছে তুরস্ক এবং সিরিয়া। দু’দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। রাষ্ট্রপুঞ্জের অনুমান, শুধু তুরস্কেই ভেঙে পড়েছে ২ লক্ষ ৬৪ হাজার বাড়ি। সিরিয়াতেও অন্তত হাজার পঞ্চাশেক বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে অনুমান ত্রাণকর্মীদের। ধ্বংসস্তূপের নীচ যে আরও কত হাজার মানুষ চাপা পড়ে রয়েছেন, তারও কোনও হিসাব নেই।
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দু’দেশে এখন শুধুই স্বজনহারাদের কান্নার রোল। হাসপাতালগুলিতেও চিকিৎসা চলছে লক্ষাধিক মানুষের। যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁদেরও খাবার, পানীয় জল ও ওষুধ সরবরাহ করতে নাজেহাল আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংগঠনগুলি। পর্যাপ্ত খাবার এবং জল ছাড়াই রাস্তায় দিন কাটাচ্ছেন ঘরবাড়ি হারানো বহু মানুষ।