রঞ্জনী শ্রীনিবাসনের স্টুডেন্ট ভিসা বাতিল করেছে আমেরিকা। ছবি: সংগৃহীত।
হামাসের সমর্থনে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে ভারতীয় ছাত্রীর ভিসা প্রত্যাহার করে নিল আমেরিকা। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন রঞ্জনী শ্রীনিবাসন নামে ছাত্রীটি। তাঁর স্টুডেন্ট ভিসা নাকচ হয়ে যাওয়ার পরে তিনি নিজে মার্কিন মুলুক ছেড়ে চলে আসছেন বলে খবর।
আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি দফতর জানিয়েছে, রঞ্জনী ‘জঙ্গিগোষ্ঠী’ হামাসের সমর্থনে আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। তিনি সক্রিয় ভাবে ওই আন্দোলনে অংশ নেন। এ জন্য গত ৫ মার্চ ছাত্রীর স্টুডেন্ট ভিসা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে এ-ও জানানো হয়, তারা ওই ছাত্রীর কর্মকাণ্ডে নজর রেখেছে। তিনি যে আন্দোলনের অংশ ছিলেন, তার প্রমাণ হিসাবে ভিডিয়ো দফতরের কাছে রয়েছে। এবং তার পরেই ছাত্রী স্বেচ্ছায় আমেরিকা ছেড়েছেন। অর্থাৎ, সামরিক বিমানে উঠিয়ে নির্বাসিতদের দেশে ফেরানোর ঝুঁকি এড়াতেই ওই পদক্ষেপ।
হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি দফতরের সচিব কৃস্টি নোয়েম শ্রীনিবাসনের বিমানবন্দরে পা রাখার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘দেশে হিংসা এবং সন্ত্রাসবাদের পক্ষে কথা বলা উচিত নয়।’’ এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘‘আমেরিকায় বসবাস এবং পড়াশোনার জন্য ভিসা পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়। যখন কেউ হিংসা এবং সন্ত্রাসবাদের পক্ষে কথা বলেন, তখন তাঁর সেই সুযোগ বাতিল হওয়া উচিত এবং তাঁর এই দেশে থাকা উচিত নয়।’’
প্যালেস্টাইনের সমর্থনে এবং গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলার প্রতিবাদে আমেরিকার বেশ কিছু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। নিউ ইয়র্ক শহরে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়েছে সবচেয়ে বেশি। অবস্থান-বিক্ষোভ এবং তার সঙ্গে ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকে পড়ুয়াদের গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। সেই কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত পড়ুয়া ছিলেন শ্রীনিবাসন। তিনি অহমদাবাদের সিইপিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তার পর স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে গিয়েছিলেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজকর্মী হিসাবে সক্রিয় ওই ভারতীয় ছাত্রী। তিনি ওয়াশিংটনের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।