শীঘ্রই রাশিয়া সফরে যেতে পারেন চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিং! ফাইল চিত্র।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তির আবহেই রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় গেলেন চিনের শীর্ষ কূটনীতিবিদ ওয়াং ই। ক্রেমলিন সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে একাধিক আন্তর্জাতিক এবং দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। পুতিন ওয়াংকে জানিয়েছেন, চিনা প্রেসিডেন্টের আসন্ন রাশিয়া সফরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাঁরা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের একাংশ মনে করছে, পুতিনের কথা থেকেই স্পষ্ট, খুব শীঘ্রই মস্কোয় আসতে চলেছেন জিনপিং। চিন এবং রাশিয়ার এই উষ্ণ সম্পর্ককে ভাল চোখে দেখছে না আমেরিকা। তাদের আশঙ্কা, চিন যদি রসদ এবং অস্ত্র দিয়ে রাশিয়াকে সাহায্য করে, তবে তা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলবে।
চিনের শীর্ষ কূটনীতিবিদের সঙ্গে বৈঠকের পর পুতিন অবশ্য জানিয়েছেন, দুই দেশ সব কিছুই সাবলীল ভাবে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। চিন এবং রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের গভীরতার কথা বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমরা বন্ধুত্বের নতুন সীমানা স্পর্শ করেছি।” ‘দি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিনপিংয়ের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে কথা হতে পারে পুতিনের। এখনও জিনপিংয়ের মস্কো সফরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও ওই প্রতিবেদনে চিনা প্রেসিডেন্টের ‘ঘনিষ্ঠমহলকে’ উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে আগামী মার্চে কিংবা এপ্রিলের গোড়ায় রাশিয়া যেতে পারেন জিনপিং।
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্রের খবর, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যুযুধান দুই দেশকেই আলোচনার টেবিলে বসানোর জন্য সক্রিয়া ভূমিকা নিতে চাইছে চিন। যদিও চিনের এই ‘অতিসক্রিয়তা’কে ভাল ভাবে দেখছে না জো বাইডেনের দেশ। বুধবার আমেরিকার তরফে জানানো হয়েছে, চিন কোনও ভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে দাঁড়ালে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের পাশে সর্বশক্তি দিয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা এবং ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। কিছু দিন আগেই ইউক্রেনের রাজধানী কিভে গিয়ে রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছেন বাইডেন। এই আবহে চিন, রাশিয়ার পাশে দাঁড়ালে বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশ সরাসরি যুদ্ধে নেমে পড়বে কি না, সেই আশঙ্কাও ঘনাচ্ছে বিশ্বজুড়ে।