রাফা শহরে ইজরায়েলের হামলা। ছবি রয়টার্স।
গাজ়া ভূখণ্ডের দক্ষিণে রাফায় প্যালেস্টাইনি শরণার্থীদের শেষ ঠিকানায় ইজ়রায়েলি সেনা স্থলপথে হামলা শুরু করার পরেই সক্রিয় হল আমেরিকা। বুধবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ইজ়রায়েলে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সরবরাহের একটি চালান আপাতত মুলতুবি রাখা হয়েছে।
আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বুধবার জানিয়েছেন, সাময়িক ভাবে তাঁরা ইজ়রায়লি সেনাকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ওই সিদ্ধান্তের কোনও কারণ জানাননি তিনি। আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরে জানানো হয়েছে, ওই চালানে রয়েছে ১ কোটি ৮০ লক্ষ ২ হাজার পাউন্ডের অস্ত্র এবং ১৭ লক্ষ ৫০০ পাউন্ড ওজনের বোমা আর বিস্ফোরক।
প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতার দাবিতে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূল করার ঘোষণা করে সোমবার বিকেল থেকে ইজ়রায়েলি ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ির বহর রাফা দখলের অভিযান শুরু করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র আশঙ্কা, ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী কয়েক দিনে নারী ও শিশু-সহ বহু সাধারণ প্যালেস্টাইনি নাগরিক হতাহত হতে পারেন।
বুধবার হোয়াইট হাউসের তরফে এক বিবৃতিতেও নেতানিয়াহু সরকারের ওই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘গাজ়ার বাসিন্দাদের মানবিক সঙ্কট নিয়ে আমেরিকার উদ্বেগকে ইজ়রায়েল গুরুত্ব দেয়নি।’’ হোয়াইট হাইসের এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘রাফায় ১০ লক্ষেরো বেশি প্যালেস্টাইনি আশ্রয় নিয়ে আছেন। তাঁদের অন্যত্র যাওয়ার জায়গাটুকুও নেই।’’ প্রসঙ্গত, অক্টোবরের গোড়ায় নেতানিয়াহু ফৌজের অভিযান শুরুর পর থেকে মিশর সীমান্তবর্তী রাফা শহরে উত্তর ও মধ্য গাজ়া থেকে পালিয়ে এসেছিলেন প্রায় ১২ লক্ষ প্যালেস্টাইনি। তাঁদের অধিকাংশই সেখানে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন।