জো বাইডেনের তূণীরের অন্যতম তির হতে চলেছেন তিনি। এমনটাই ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের। কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত আয়েশা শাহকে বেছে নিয়েছেন আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউসের ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজির অন্যতম সদস্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে তাঁর নাম।
বাইডেনের তরফে জানানো হয়েছে, ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজির প্রধান হবেন রব ফ্ল্যাহার্টি। তাঁর সঙ্গে কাজ করবেন অন্য বিশেষজ্ঞরা।
তাঁদের মূল লক্ষ্য হবে, হোয়াইট হাউসকে আমেরিকার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
হোয়াইট হাউসের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নিত্যনতুন উপায়ের কথা ভাবার দায়িত্ব দেওয়া হবে এই ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি টিমকে।
সেই দলের অন্যতম সদস্য আয়েশার এর আগে ডিজিটাল দুনিয়ায় কাজ করার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা আছে।
লুইসিনিয়ায় বড় হওয়া আয়শা এর আগে বাইডেন-হ্যারিস নির্বাচনী প্রচারে ছিলেন ডিজিটাল পার্টনারশিপ ম্যানেজার।
বর্তমানে তিনি স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউটের অ্যাডভান্সমেন্ট স্পেশালিস্ট।
কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত এই কন্যার পড়াশোনা আগাগোড়াই আমেরিকায়। ডেভিডসন কলেজ থেকে তিনি ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক হন ২০১৩ সালে।
পাশাপাশি তিনি পড়াশোনা করেছেন স্প্যানিশ ভাষা ও সাহিত্যেও। কিছু দিন তিনি কম্পিউটারের শিক্ষিকা হিসেবে স্বেচ্ছা শ্রমদান করেছেন।
এর আগে একটি নামী ইন্টিগ্রেটেড মার্কেটিং ফার্মে তিনি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন।
সেখানেও তাঁর কাজের বিষয় ছিল সাম্প্রতিক জনপ্রিয় মাধ্যমকে সামাজিক পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে কী ভাবে ব্যবহার করা যায়।
আয়শা-সহ গোটা ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি টিমের কাজের মূল উদ্দেশ্য হবে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের বাইরে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।
অতিমারির বিপর্যয়কে মাথায় রেখে যথাসম্ভব নজর দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল মাধ্যমের উপর।
জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসের ভাবী প্রশাসনে ডিজিটাল মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে বলে অভিমত হোয়াইট হাউসের প্রতিনিধি রন ক্লেনের।
ইতিমধ্যেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস উঠে এসেছেন বিশ্বরাজনীতির মঞ্চে। বাইডেন এবং তাঁকে সাহায্য করতে এই কাশ্মীরিকন্যার ভূমিকা কতটা সক্রিয় হবে, দেখার অপেক্ষায় বিশ্ববাসী।