সিরিয়া

স্কুলে বিমান হানা, নিহত ২২ পড়ুয়া

বিমান হানা শুরু হতেই স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাড়ি যাবে বলে ব্যাগ তুলে সবে মাত্র ছুট লাগিয়েছিল খুদে পড়ুয়াদের দল। এমন সময় প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল স্কুল। ধসে পড়ল একাংশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেইরুট শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৫৭
Share:

ইদলিবের সেই বিধ্বস্ত স্কুল। — এ পি

বিমান হানা শুরু হতেই স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাড়ি যাবে বলে ব্যাগ তুলে সবে মাত্র ছুট লাগিয়েছিল খুদে পড়ুয়াদের দল। এমন সময় প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল স্কুল। ধসে পড়ল একাংশ।

Advertisement

চিৎকার-কান্নায় তত ক্ষণে ভরে গিয়েছে স্কুল চত্বর। কপাল জোরে যে কয়েক জন বেঁচে গিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে কাছেই চাপা পড়া বাচ্চাটিকে বের করার চেষ্টায় লেগে পড়েছেন। এর মাঝেই ফের কান ফাটা শব্দ। মুহূর্তে ধুলোয় মিলিয়ে গেল সব।

বৃহস্পতিবার জঙ্গি-অধিকৃত ইদলিবের একটি স্কুলে সিরিয়া এবং রাশিয়ার যৌথ বিমান হানায় প্রাণ হারালেন মোট ৩৫ জন। তাঁদের মধ্যে ২২ জনই পড়ুয়া বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

সূত্রের খবর, আল-কায়দার শাখা সংগঠন ফতেহ-আল-শাম জঙ্গিদের হাত থেকে ইদলিবকে মুক্ত করতে এ দিন স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিমান হানা শুরু হয়। অভিযোগ, নিশানা করেই ওই স্কুলে হামলা চালানো হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা সূত্রে খবর, গত এক সপ্তাহ ধরে ইদলিবে টানা বিমান হামলায় এখনও পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৮৯। বিমান হানার জেরে নিরীহ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে সিরিয়া ও রাশিয়ার যৌথ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে অনেক দিন থেকে। এ দিনের ঘটনা সেই তালিকারই সর্বশেষ সংযোজন।

স্থানীয় সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই ঘটনার ভয়াবহ সব ছবি ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কে। তাতে দেখা গিয়েছে, ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে বের করে আনা হচ্ছে পড়ুয়াদের নিথর দেহ। আরও একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে এক পড়ুয়ার কাটা হাত। তখনও মুঠো করে ধরা তার বইয়ের ব্যাগটা।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব অ্যাশটন কার্টার এবং ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা সচিব মাইকেল ফ্যালন এ দিনই ঘোষণা করেছেন, সামনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রাকাকে জঙ্গি-মুক্ত করার অভিযান শুরু হবে। কিন্তু তার জেরে কত জনকে নিজের প্রাণের মাশুল দিতে হবে, এখন সেই প্রমাদই গুনছে সিরিয়াবাসী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement