—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ইজ়রায়েলের উপর ইরান হামলা করেছে। তার প্রেক্ষিতে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এই আবহে ভারত এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা করল এয়ার ইন্ডিয়া।
রবিবার একটি বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য দিল্লি এবং তেল অভিভের (ইজ়রায়েলের অন্যতম প্রধান শহর) মধ্যে বিমান চলাচল বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৪ এপ্রিল, রবিবার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে।
ভারতের রাজধানী থেকে ইজ়রায়েলের অন্যতম প্রধান শহরের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার চারটি করে বিমান যাতায়াত করে প্রতি সপ্তাহে। টাটা গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন উড়ান সংস্থা এর আগে হামাস আক্রমণের সময় ইজ়রায়েলের সঙ্গে উড়ান পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল। সেটা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। প্রায় পাঁচ মাস পর গত ৩ মার্চ আবার দুই দেশের মধ্যে উড়ান পরিষেবা চালু করেছিল সংস্থাটি। কিন্তু উদ্ভুত পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে এবং যাত্রীদের সুরক্ষার স্বার্থে আবার পরিষেবা মুলতুবির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বলে জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া।
রবিবারই তেহরান সরাসরি ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০টি ড্রোন দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে খবর। ওই আক্রমণের খবর পেয়ে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফোন করে পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন বলে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। তাতে এ-ও জানা গিয়েছে, নেতানিয়াহু ইরানের হামলা প্রসঙ্গে বাইডেনকে জানিয়েছেন, তাঁদের উপর যারাই হামলা চালাবে, তাদের জবাব দেবেন। কোনও রকম হুমকির সামনে তাঁর দেশ মাথা নত করবে না। সেটাই ইজ়রায়েলের নীতি বলে জানান সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। তবে নেতানিয়াহুর কথায় নাকি সায় দেননি বাইডেন। তিনি জানান, ইরানের বিরুদ্ধে কোনও আক্রমণাত্মক অভিযানে আমেরিকা মদত দেবে না। এর মধ্যে ইজ়রায়েলের উপর হানার ঘটনার সমালোচনা করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। তিনি এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) লেখেন, ‘‘আমি ইজ়রায়েলের উপর ইরানের এই অভূতপর্ব আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ওই হামলায় সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পরিস্থিতি আবার খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’’ ইউক্রেনও এই হামলার জন্য ইরানের নিন্দা করেছে।
রবিবার তেহরানে ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাদুল্লাহিয়ান জানান, আমেরিকাকে তারা বলেছেন ইজ়রায়েলের উপর এই আক্রমণ ‘সীমিত’ এবং ‘আত্মরক্ষার স্বার্থে’ করা হয়েছে। অন্য দিকে, বিশেষজ্ঞদের অনুমান ইরান-ইজ়রায়েলের মধ্যে অস্থিরতার প্রভাব ভারতের শেয়ার বাজারে পড়তে পারে।