Civil War in Sudan

সুদানের গৃহযুদ্ধ ছড়াল রাজধানী খারতুমে, ডাগালোর আধাসেনাকে হটিয়ে দিলেন সেনাপ্রধান বুরহান

আধাসেনা আরএসএফকে হটিয়ে সুদার ফৌজের রাজধানী দখলের ফলে ২০২৩-এর এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধ নির্ণায়ক মোড় নিতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫ ২১:২০
Share:
আধাসেনা প্রধান মহম্মদ হামদান ডাগলো (বাঁ দিকে) সেনাপ্রধান আবদেল ফতাহ আল-বুরহান (ডান দিকে)

আধাসেনা প্রধান মহম্মদ হামদান ডাগলো (বাঁ দিকে) সেনাপ্রধান আবদেল ফতাহ আল-বুরহান (ডান দিকে) —ফাইল চিত্র।

সুদানে নির্ণায়ক মোড় নিল তিন বছরের রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধ। সে দেশের আধা সামরিক বাহিনী ‘র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স’ (আরএসএফ)-কে হটিয়ে রাজধানী খারতুমের বড় অংশের দখল নিল সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল আল ফতা আল বুরহানের অনুগত বাহিনী।

Advertisement

দেড় বছর আগে সেনাকে হারিয়ে সুদানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ দারফুরের দখল নিয়েছিল জেনারেল মহম্মদ হামদান ডাগালোর অনুগত আরএসএফ বাহিনী। এ বার খারতুমে তার শোধ নিল বুরহানের সেনা। এর ফলে ২০২৩-এর এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধ নির্ণায়ক মোড় নিতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার আরএসএফকে হটিয়ে প্রায় দু’বছর পরে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ দখল করেছিল সেনা। শনিবার সুদানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক তারা কব্জা করেছে। এর আগে দারফুরেরও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল সেনা।

সুদানের বর্তমান গৃহযুদ্ধের প্রতিপক্ষ জেনারেল বুরহান ও জেনারেল ডাগালো। প্রথম জন সুদানের সেনাপ্রধান এবং ২০১৯ থেকে দেশের সর্বোচ্চ শাসনব্যবস্থার জন্য ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলের প্রধান। দ্বিতীয় জন দেশের আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ-এর প্রধান তথা কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। দু’জন জেনারেলের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার ভঙ্গ, লুটতরাজ, নৃশংসতা ও ধর্ষণে মদতের অভিযোগ রয়েছে। গত তিন বছরে দুই জেনারেলের লড়াইয়ে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এক কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহে শুধু বৃহত্তর খারতুম অঞ্চল ছেড়েই পালিয়েছেন প্রায় ৩৫ লক্ষ অসামরিক নাগরিক।

Advertisement

গত কয়েক দশকে সুদানে সামরিক বাহিনীর গৃহযুদ্ধের গণহত্যায় এই দুই জেনারেলের ‘বড়’ ভূমিকা ছিল। স্বৈরতন্ত্রী শাসক ওমর আল বশির তিরিশ বছর ক্ষমতাসীন থেকে শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের জেরে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হন। তার পর প্রভাবশালী সামরিক গোষ্ঠীর নেতা, এবং অসামরিক নেতারা মিলে একটি পরিচালন পর্ষদ (কাউন্সিল) গঠন করে নিজেদের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির ব্যবস্থা করেন। ঠিক হয়েছিল, কয়েক বছরের মধ্যেই পুরোপুরি অসামরিক এক সরকারের হাতে দেশের ক্ষমতা তুলে দেবে। কিন্তু ২০২১-এর অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লা হামদকের নেতৃত্বাধীন সেই অন্তর্বর্তী সরকারকেও উৎখাত করেন সেনাপ্রধান বুরহান। এর পর তিনি ২০২৩ সালে নির্বাচন ঘোষণা করেন। অর্থাৎ, এ বছরই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে জেনারেল বুরহান সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ-কে এক ছাতার তলায় আনতে উদ্যোগী হতেই দাগালোর সঙ্গে তাঁর বিবাদ শুরু হয়েছিল। এপ্রিল মাসের মধ্যপর্বে যা গড়ায় রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement