তাঁদের পরিবারে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। শুধু তাঁদের কেন, সম্ভবত বিশ্বে এরকম ঘটনা এই প্রথম। কিন্তু ধবধবে ফর্সা ত্বক আর সোনালী চুল নিয়ে যখন ড্যানিয়েল জন্মাল, তখন প্রথমেই তাঁদের মনে হয়েছিল, এই সন্তান কী সত্যিই তাঁদের? প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না অফ্রিকান এই দম্পতি। শুধু তাঁরা নন, হতবাক চিকিৎসকরাও। কী ভাবে ঘটল এমন ঘটনা?
আফ্রিকান এই কৃষ্ণাঙ্গ দম্পতির নাম ফ্রান্সিস ও অর্লেট শিবাঙ্গু। ২০০৮ সালে বিয়ে হয় তাঁদের। ফ্রান্সিস ও অর্লেট দু’জনেই এখন লাফবরো-তে থাকেন। বছর তিনেক পরে ইংল্যান্ডের লেস্টার রয়্যাল ইনফার্মারি হাসপাতালে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন অর্লেট।
ড্যানিয়েলের জন্মের পরই এমন ‘মিরাক্যাল’ দেখে চমকে ওঠেন ওই দম্পতি। অবাক চিকিৎসকরাও। কারণ কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারে এমন ঘটনা এই প্রথম। ধবধবে সাদা চামড়া আর সোনালী চুল নিয়ে জন্মেছে ড্যানিয়েল।
২৮ বছরের ফ্রান্সিস জানান, প্রথমে তিনি বিশ্বাসই করেননি ড্যানিয়েল তাঁরই সন্তান। অনেকে এই নিয়ে নানান গুজবও ছড়াতে শুরু করে। কিন্তু ফ্রান্সিস জানান, প্রথমে একটু খটকা লাগলেও স্ত্রীকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করেন তিনি। তাছাড়া ভাল করে দেখলেই বোঝা যায়, ড্যানিয়েলের চোখ, নাক, মুখের আদলের সঙ্গে তাঁর এবং অর্লেটের প্রচুর মিল রয়েছে।
২৫ বছরের অর্লেট জানান, ‘‘ড্যানিয়েলের জন্মের পর সকলেই চুপ করে গিয়েছিল। কিন্তু ওকে একবার দেখেই আমি বুঝেছিলাম, ও আমাদের। ওকে কোলে নেওয়ার পরেই সেই টানটা অনুভব করলাম। আসলে ড্যানিয়েল আমাদের মিরাক্যাল।’’
ফ্রান্সিস জানান, সম্ভবত ছয় প্রজন্ম আগে তাঁদের পরিবারে এমন শ্বেতাঙ্গ সন্তানের জন্ম হয়েছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে সঠিকভাবে কিছু জানা যায় না।
ফ্রান্সিস ও অর্লেটের দু’বছরের একটি পুত্রসস্তান রয়েছে। তবে সে একেবারেই স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন শিবাঙ্গু দম্পতি। তবে ড্যানিয়েলের ক্ষেত্রে কেন এমন হল তার সঠিক উত্তর দিতে পারেননি চিকিৎসকরাও।