এই বিমানে করেই ফেরানো হয়েছে ভারতীয়দের ছবি: টুইটার থেকে।
কাবুল থেকে ১৩০ জন ভারতীয়কে নিয়ে মঙ্গলবার দেশে ফিরল ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান। এর আগে সোমবার রাতে আরও একটি বিমানে করে ভারতীয়দের দেশে ফেরানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দূতাবাসের কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীরা রয়েছেন। কিন্তু তালিবানি নজরের মধ্যে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া কিন্তু মোটেই মসৃণ ভাবে হয়নি। পদে পদে বেগ পেতে হয়েছে। তার মধ্যেই নিজেদের নাগরিকদের উদ্ধার করেছে নয়াদিল্লি।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, রবিবার তালিবান কাবুল দখলের পরেই ভারতীয় বায়ুসেনার দু’টি সি-১৭ বিমান কাবুলে পাঠানো হয়। সেই বিমানগুলিতে দূতাবাস কর্মী ও ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের জওয়ানদের ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু ভারতীয় দূতাবাসকে নিজেদের নজরদারির মধ্যে রেখেছিল তালিবান। এমনকি কোনও আফগান নাগরিক ভারতে পালানোর জন্য দূতাবাসের দ্বারস্থ হয়েছে কি না তা দেখার জন্য সেখানে হানাও দেয় তালিবান।
এই পরিস্থিতিতেই প্রথমে ৪৫ জন ভারতীয়কে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সূত্রের খবর, যে গাড়িতে করে ভারতীয়দের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই গাড়িকে রাস্তায় আটকানো হয়। কয়েক জনকে দূতাবাসে ফেরত পাঠায় তালিবান। বাকিদের অনুমতি দেওয়া হয়। সোমবার কাবুল বিমানবন্দরের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেই বায়ুসেনার বিমান রওনা দেয়।
সোমবার অসামরিক বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার মধ্যেই আফগানরা দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন। আমেরিকার সেনাবাহিনীর বিমানেও ওঠার চেষ্টা করেন অনেকে। পরিস্থিতি সামলাতে গুলি চালায় আমেরিকার সেনা। বিমানে ঝুলে পালানোর মরিয়া চেষ্টা করতে গিয়ে আকাশ থেকে ছিটকে পড়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। এই অবস্থায় সোমবার দূতাবাসে আটকে থাকা বাকি ভারতীয়দের বার করে আনা সম্ভব হয়নি।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, সোমবার রাতেই আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। তার পরেই মঙ্গলবার সকালে কাবুলে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রুদ্রেন্দ্র ট্যান্ডন-সহ দূতাবাস কর্মী ও ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের জওয়ানদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। বায়ুসেনার বিমানে করে গুজরাতের জামনগরে এসে পৌঁছেছেন তাঁরা।