Afghanistan Crisis

Afghan Female Leaders: তালিবানের ভয়! মহিলা রাজনীতিকদের কেউ আফগানিস্তান ছেড়েছেন, কেউ লুকিয়ে প্রাণে বাঁচছেন

আফগান মহিলাদের প্রতি তালিবানের আশ্বাসকে ‘মেকি’ই বলছেন দেশ ছেড়ে পালানো মহিলা রাজনীতিকরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাবুল শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:৩০
Share:

ছবি: রয়টার্স।

এ তালিবান নতুন তালিবান। নৃশংসতার খোলস ছেড়ে গঠনমূলক চিন্তাভাবনার তালিবান। সকলের ‘ত্রাতা’ হতে চাওয়া তালিবান। আফগানিস্তনের ক্ষমতায় আসার পরই নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে, আফগানদের মধ্যে তালিবান সম্পর্কে ভীতি দূর করতে দফায় দফায় আশ্বাস দিচ্ছেন তালিবান নেতারা। কিন্তু তাঁদের উপর মোটেই ভরসা রাখতে পারছেন না সে দেশের শীর্ষ স্তরের মহিলা রাজনীতিকরা। গত দু’দশকে যে আফগানিস্তানকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছিলেন, নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন সকলে মিলে, সেই মহিলা রাজনীতিকরাই এখন তালিবানের ভয়ে হয় দেশ ছেড়েছেন অথবা আত্মগোপন করে আছেন।

দু’দিন আগেই তালিবানের সমর্থনে হাজির হওয়া কয়েকশো মহিলার ছবি তুলে ধরে গোটা বিশ্বের কাছে তালিবান প্রকারান্তরে বার্তা দিতে চেয়েছে যে, তারা মহিলাদের অধিকারকে সম্মান দেবে। তাদের প্রতি মহিলাদেরও সমর্থন রয়েছে। কিন্তু তালিবানের এই আশ্বাসকে ‘মেকি’ই বলেছেন দেশ ছেড়ে পালানো মহিলা রাজনীতিকরা। তেমনই কয়েক জন আফগান মহিলা রাজনীতিকের উল্লেখ করা হল এখানে।

ফাওজিয়া কুফি: আফগান পার্লামেন্টের প্রাক্তন সদস্য। উত্তর বদখশান প্রদেশ থেকে মনোনীত এই রাজনীতিক আফগানিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি-র ভাইস প্রেসিডেন্ট। নীতি নির্ধারণে মহিলাদের আরও ক্ষমতা দেওয়া প্রয়োজন। এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন কুফি। মহিলাদের জন্য লড়াই করা কুফির উপর প্রাণঘাতী হামলা হয় বেশ কয়েক বার। ২০২০-তে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন তিনি।

নাহিদ ফরিদ: আফগান পার্লামেন্টের মহিলা বিষয়ক কমিশনের চেয়ারউওম্যান। বছর সাতাশের নাহিদ পশ্চিম হেরাট শহরের বাসিন্দা। উন্নয়নমূলক চিন্তাভাবনার জন্য জনপ্রিয়। শিশুর জন্মের শংসাপত্রে মায়ের নাম দেওয়া শুরু হয় তাঁর উদ্যোগেই। তালিবান ক্ষমতায় আসার পরই সন্তানদের নিয়ে দেশ ছাড়েন।

সীমা সমর: আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু হাজারা সম্প্রদায় থেকে উঠে এসেছেন। তিনি এক চিকিৎসক। হামিদ কারজাই সরকারের মহিলা বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন সীমা। মহিলাদের বোরখার পরার বিরোধিতা করে বেশ কয়কে বার হামলার শিকার হয়েছেন। আফগানিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের প্রধানও ছিলেন। তালিবান আসার পর তিনি কোথায় আছেন কেউ জানে না।

হাবিবা সারাবি: হাজারা সম্প্রদায়ের নেত্রী। এক জন চিকিৎসকও বটে। আফগান সরকারের শান্তি সমঝোতাকারী দলের এক জন। বামিয়ান প্রদেশের প্রথম মহিলা গভর্নর ছিলেন হাবিবা। মহিলাদের অধিকার নিয়ে কাজ করছেন। আফগানিস্তানেই আত্মগোপন করে আছেন।

সুক্রিয়া বারাখজাই: সাংবাদিক তথা এক জন রাজনীতিকও। নরওয়েতে আফগনিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ২০০১ থেকে মহিলাদের অধিকারের জন্য লড়াই চালাচ্ছেন। তালিবান ক্ষমতায় আসার পরই তাঁর কোনও হদিশ নেই।

জারিফা গাফারি: আফগানিস্তানের ময়দান সহর প্রদেশের সর্বকনিষ্ঠ মেয়র। মেয়র থাকাকালীন তাঁর উপর ছ’বার প্রাণঘাতী হামলা হয়। গত মাসেই আফগানিস্তান ছেড়ে সপরিবারে জার্মানি পালিয়েছেন গাফারি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement