এখানেই ছিল বিশাল বুদ্ধমূর্তি। আফগানিস্তানের বামিয়ানে। ছবি রয়টার্স।
২০০১ সালের মার্চ মাসের কথা। কয়েক সপ্তাহ ধরে একটু-একটু করে ডিনামাইট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বামিয়ানের দেড় হাজার বছরের পুরনো দুই বিশালাকার বুদ্ধ মূর্তি ধ্বংস করেছিল তালিবান। সেই ধ্বংসস্থলেই নতুন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছিল। গত মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আফগানিস্তান ফের তালিবানের দখলে। অন্ধকারে বামিয়ানের ভবিষ্যৎ।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো-র কর্তা ফিলিপ ডেলাঞ্জি বলেন, ‘‘সব কাজ থেমে গিয়েছে।’’ নয়া তালিবান সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। কিন্তু কোনও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না। বরং প্রাচীন স্থাপত্য-নিদর্শনের ক্ষতি নিয়ে নতুন করে চিন্তায় প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। ইউনেস্কোর অ্যাসিট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল আর্নেস্টো ওটোন বলেন, ‘‘আমরা ইতিহাস দেখে বিচার করছি। ২০ বছর আগে ভয়ানক পরিণতি দেখেছি।’’
ফেব্রুয়ারি মাসে অবশ্য তালিবান বলেছিল, ‘‘দেশের প্রাচীন স্থাপত্য হল— দেশের ইতিহাস, পরিচয় এবং ঐতিহ্য। একে রক্ষা করা, সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।’’ কিন্তু তালিবানের কথায় কারও বিশ্বাস নেই। তা ছাড়া আফগানিস্তান দখলের পরে তাদের মুখে এমন কোনও কথা শোনা যায়নি। বরং ক্ষমতায় এসেই তারা বামিয়ানে এক হাজ়ারা নেতার মূর্তি ধ্বংস করেছে। ’৯০-এর দশকে ওই নেতাকে হত্যা করেছিল তালিবান।