ভারতে প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূত আব্দুল বাসিতের তোপের মুখে পড়লেন আমেরিকায় পাক রাষ্ট্রদূত এজাজ আহমেদ চৌধুরি। তাঁকে পাঠানো এক চিঠিতে বাসিত লিখেছেন, ‘‘আপনি পাকিস্তানের সব থেকে অপদার্থ রাষ্ট্রদূত!’’
৫ জুলাইয়ের এই চিঠিটি কিছু দিন ধরেই বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ঘুরছিল। সেটি যে ভুয়ো নয়, তা সম্প্রতি জানিয়েছে এক পাক খবরের কাগজ। সরকারি ছাপমারা কাগজে আহমেদ চৌধুরিকে বাসিত লিখেছেন, ‘‘আমার আশঙ্কা, আপনি দেশের সব থেকে খারাপ ও অপদার্থ রাষ্ট্রদূতের তকমা পেতে চলেছেন!’’
তাঁর অভিযোগের কারণ হিসেবে দু’টি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন বাসিত। প্রথমটি ২০১৫ সালে রুশ শহর উফাতে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক। দু’দেশের যৌথ বিবৃতিতে সে বার ‘কাশ্মীর’ শব্দটি একবারও উল্লেখ করেনি পাকিস্তান। তখন পাকিস্তানের বিদেশ সচিব ছিলেন চৌধুরি। বাসিতের কথায়, ‘‘কাশ্মীর-বিতর্ক ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই প্রসঙ্গটি কী করে এড়িয়ে গেলেন আপনি!’’ বাসিতের মতে, দ্বিতীয় কারণটি হলো, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলে পাকিস্তানের নির্বাচিত না-হওয়া। এর পিছনেও এজাজের ‘ব্যর্থতা’ দেখেছেন বাসিত।
নিন্দা-বার্তায় বাসিত লিখেছেন, ‘‘আশা করি, আপনাকে অবিলম্বে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। আল্লা পাকিস্তানের মানুষকে রক্ষা করুন।’’ মজার কথা, বাসিতের নিজের বিরুদ্ধেই ব্যর্থতার নানা অভিযোগ উঠেছিল। এজাজের নাম ঘোষণার আগে আমেরিকায় পাক রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাসিতের নাম উঠে এসেছিল। এজাজকে সেই পদে বসানোর পরে তাঁর পূর্বতন বিদেশ সচিবের পদেও বাসিতের কথা ভাবা হয়। শেষ পর্যন্ত সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় তেহমিনা জানুজাকে। নির্ধারিত সময়ের আগেই ভারতে রাষ্ট্রদূতের পদ থেকে ইস্তফা দেন বাসিত।