—প্রতীকী চিত্র।
প্যারাম্বুলেটরে শিশুকে নিয়ে বছর সাতাশের মা ব্র্যাডফোর্ডের ওয়েস্টগেট এলাকার রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন। শনিবার বিকেল ৩টে ২০ মিনিট নাগাদ হাবিবুর মাসুম নামে বছর পঁচিশের এক আততায়ী হঠাৎ চড়াও হয়ে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। শিশুটি অক্ষত রয়েছে। ইয়র্কশায়ার পুলিশ আততায়ীর ছবি প্রকাশ করে তাকে খোঁজা শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, হাবিবুর ওল্ডহ্যাম এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে হাবিবুরকে ‘রোগাপাতলা গড়নের এশিয়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানিয়েছেন, ধূসর হুডিতে মাথা ঢেকে আততায়ীকে এলাকা ছাড়তে দেখা গিয়েছে। আততায়ীর ছবি ধরা পড়েছে এলাকার নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজেও। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেটি হাবিবুরেরই কি না, সেই ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশের দাবি, নিহত ও আততায়ী পরস্পরের পূর্ব পরিচিত।
ইতিমধ্যে একটি সমাজমাধ্যমের হ্যান্ডল ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, সেটি ওই আততায়ীর। তাতে তার আদি বাড়ি বাংলাদেশের সিলেটেবলে উল্লেখ রয়েছে। বেশ কিছু ভ্লগও পোস্ট করা হয়েছে তাঁর নামের একটি হ্যান্ডল থেকে। বেডফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ডিজিটাল মার্কেটিং পড়ার সূত্রে সে ইংল্যান্ডে আসে বলে ওই হ্যান্ডল থেকে জানা যাচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাস্থলের কাছেই ফল আর আনাজের দোকান রয়েছে জিও খান নামে এক ব্যক্তির। তিনি জানান, কয়েক সপ্তাহ হল ওই মহিলা তাঁর দোকানে আসছিলেন। জিওর দাবি, হঠাৎ চিৎকার শুনে তাকিয়ে দেখেন, ফুটপাতে প্যারাম্বুলেটরের পাশে মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছেন এক মহিলা। জিও বলেন, “পাশ ফেরাতেই প্রচুর রক্ত নজরে আসে। নাড়ির স্পন্দন পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘাড়ের কাছে ছুরির ক্ষত ছিল।” তিনি কৃত্রিম ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস চালু করার চেষ্টা করলেও কোনও কাজ হয়নি বলে জানান জিও। কিছু ক্ষণের মধ্যেই পুলিশ চলে আসে।
অন্য কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন, ওই মহিলাকে চার-পাঁচ বার কুপিয়েছে আততায়ী। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এলাকার বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করতে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হবে।