ছবি-- সংগৃহীত
চিন সরকার জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতি শিথিল করলেও তাতে বিশেষ আগ্রহ নেই সে দেশের নাগরিকদের। চিনের নাগরিকরাই এ ব্যাপারে প্রস্তুত নন। তার কারণ মূলত স্থানাভাব এবং অর্থাভাব, বলছেন দম্পতিরা। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের থাকা-খাওয়ার খরচ এতটাই বেশি যে চিনা দম্পতিরা একের বেশি সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা ভাবতেই পারছেন না। বড়জোর দুই।
রাজধানী বেজিংয়ের এক ২২ বছরের পড়ুয়া সংবাদ সংস্থাকে জানান, ‘‘সন্তান জন্ম দেওয়ার ব্যাপারে অধিকাংশ মহিলাই আর ইচ্ছুক নন। আবার তৃতীয় সন্তান!’’ স্থানাভাব এবং অর্থাভাবের কারণেই অধিকাংশ দম্পতি বেশি সন্তান জন্ম দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী নন। স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বেজিংয়ের একটি খেলনার দোকানে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘‘বেজিংয়ের মতো শহরে দুই সন্তানই অনেক। আমাদের অত টাকাও নেই এবং ঘরে এত জায়গাও নেই।’’
সম্প্রতি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি আরও কিছুটা শিথিল করেছে চিন। পরিবার পিছু তিন সন্তান নীতি চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। গত বছর মাত্র ১ কোটি ২০ লক্ষ শিশুর জন্ম হয়েছে সে দেশে। কড়া জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতির কারণে চিনে বার্ধক্যের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় ২০১৬ সালে দুই সন্তান নীতি বদলায় চিন। কিন্তু তাতেও সমস্যার বিশেষ সমাধান হয়নি। দেশের বয়স্ক মানুষদের জন্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পেনশন খরচ বেড়েই চলেছে। তাতে লাগাম টানতেই ‘তিন সন্তান নীতি’ চালু করল চিন।