—প্রতীকী ছবি।
অভিযোগ, সে ছুরি হাতে আক্রমণ করেছিল ইজ়রায়েলি সীমান্ত বাহিনীকে। ‘আত্মরক্ষা’য় গুলি চালিয়ে দেয় তারা। জেরুসালেম এবং অধিকৃত পশ্চিম ভূখণ্ডের মাঝে চেক পয়েন্টটিতে ওই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ১৬ বছরের প্যালেস্তাইনি কিশোরী সামা জুহের মুবারক।
মুবারকরা আদতে গাজ়ার বাসিন্দা। যদিও তারা থাকত পশ্চিম ভূখণ্ডের রামাল্লায়। আল-জ়াইম চেকপয়েন্টে ঠিক কী ঘটেছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। মুবারকের পরিবারের দাবি, ঠান্ডা মাথায় তাঁদের মেয়েকে খুন করেছে ইজ়রায়েলি বাহিনী। ইজ়রায়েলের পুলিশ অবশ্য একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, মুবারক ওই চেক পয়েন্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা গাড়ির কাছে এক দল ইজ়রায়েলি সেনার সামনে দাঁড়িয়ে সে। এর পরেই কিছু ক্ষণের বাদানুবাদ। পুলিশ পিছিয়ে গেল। খুব কাছ থেকে গুলি চালায় ইজ়রায়েলি সেনা। মাটিতে লুটিয়ে পড়ল মুবারক। আর একটি ভিডিয়োও দেখা যাচ্ছে, মেয়েটির ব্যাগ খালি করে তার বই, স্কুলের জিনিসপত্রের মধ্যে তল্লাশি চালাচ্ছে ইজ়রায়েলি বাহিনী।
জেরুসালেমের পুলিশ প্রধান যোরাম হালেভি দাবি করেছেন, ওই প্যালেস্তাইনি কিশোরী একটি ছুরি বার করে ইজ়রায়েলি সেনা-পুলিশকে আক্রমণ করে। ওই কারণেই তাকে গুলি করা হয়। হালেভি যদিও বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন ওই ঘটনা ঘটল, তার কারণ এখনও জানা যায়নি। কেন মেয়েটি চেক পয়েন্টে এসেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
দিন কয়েক আগেই তিন প্যালেস্তাইনিকে খুন করার অভিযোগ ওঠে ইজ়রায়েলি সেনার বিরুদ্ধে। গত শনিবার পশ্চিম ভূখণ্ডের আল-মুঘেইর গ্রামে ইজ়রায়েলি সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় ৩৮ বছর বয়সি হামদি নাসানের। সিলওয়ার গ্রামে পাথর ছোড়ার ‘অপরাধে’ গুলি করে হত্যা করা হয় আয়মান হামেদকে। শনিবার সকালে পূর্ব জেরুসালেমে দামাস্কাস গেট-এ তাড়া করে হত্যা করা হয় রিয়াদ শামাসনে।
২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ইজ়রায়েল তাদের অস্ত্র আইন শিথিল করে দেয়। বাহিনীকে অনুমতি দেওয়া হয়, কেউ পাথর ছুড়লে বা আক্রমণ করলে সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালাতে পারে তারা। অভিযোগ, সেই থেকে একের পর এক নিরীহকে হত্যা করছে ইজ়রায়েলি সেনা।