টর্নেডোয় প্রায় ১০০ মাইল এলাকা জুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছবি: রয়টার্স।
ক্যালিফোর্নিয়ার পরে এ বার টর্নেডোয় তছনছ মিসিসিপি। শুক্রবার গভীর রাতে মিসিসিপি জুড়ে একটি টর্নেডো এবং শক্তিশালী বজ্রঝড়ে কমপক্ষে ২৩ জনের মৃত্যু হয়। প্রচুর মানুষ আহতও হয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ জনেরও বেশি আশ্রয়হীন।
প্রবল হাওয়া এবং ঝড়ের দাপটে চার জন নিখোঁজ। আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা, টর্নেডোয় প্রায় ১০০ মাইল এলাকা জুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর প্রভাব পশ্চিম মিসিসিপির সিলভার সিটি নামে একটি ছোট শহরে পড়েছে। ঝড়ের কারণে গোটা শহর বিদ্যুৎহীন ছিল। শহরের বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রচুর গাছ ভেঙে পড়েছে। বেশ কিছু অংশে টর্নেডো সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মিসিসিপির রাজ্যপাল টেট রিভস সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “গত রাতের মারাত্মক টর্নেডোতে অন্তত ২৩ জন মিসিসিপিবাসী মারা গিয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। উদ্ধারকারী দল এখনও কাজ করছে।’’ রোলিং ফর্কের মেয়র এলড্রিজ ওয়াকার বলেন, “আমার শহর ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তবে আমরা আবার বেঁচে উঠব।” তিনি আরও জানান, এই ঝড়ের কারণে বেশ কয়েক জন তাঁদের বাড়িতে আটকা পড়ে গিয়েছে, সেই উদ্ধারকাজ এখনও চলছে।