বাড়ির গোপন কুঠুরি থেকে বেরিয়ে আসার পর। ছবি: সংগৃহীত।
পুরনো বাড়ির গোপন কোটরে বসানো ছিল একটি পুতুল। নতুন মালিক মেরামতির কাজ করতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করতেই চমক! পুতুলের হাতে একখানি চিঠি। আর সেই চিঠি লেখা হয়েছে খোদ উদ্ধারকারীর উদ্দেশেই।
ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জন্য নয়, চিঠিতে স্পষ্টতই খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে উদ্ধারকর্তাকে। সঙ্গে পুতুলটি তার চিঠিতে দাবি করেছে, বাড়ির আগের মালিককেও কুপিয়ে খুন করেছে সে।
লিভারপুলের ওই বাড়িতে দিন কয়েক আগেই এসে উঠেছেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক জোনাথন লুইস। ফ্রিজের তার খুঁজতে গিয়ে একটি দেওয়াল ফাটান তিনি। দেখা যায়, ফাঁপা দেওয়ালের ভিতরেই বসানো রয়েছে একটি পুতুল।
পুরনো দিনের তুলো আর কাপড়ে তৈরি পুতুল। তার পরনের জামাকাপড় ভিক্টোরিয়ান যুগের। তবে সেসব ধুলোয় মলিন। মাথায় হলুদ উলের চুলও কালচে হয়ে এসেছে। এক ঝলক দেখলে ভয়ের সিনেমার দৃশ্য মনে হতে পারে। জোনাথন অবশ্য ভয় না পেয়েই পুতুলটিকে দেওয়ালের ভিতর থেকে বের করে আনেন। আর তখনই তার হাতে দেখতে পান একটি চিঠি।
পুতুলের হাত থেকে পাওয়া সেই চিঠি। ছবি: সংগৃহীত।
চিঠিটি লেখা হয়েছে উদ্ধারকারীর উদ্দেশে। প্রথমে ধন্যবাদ জানিয়ে তাতে লেখা হয়েছে, ‘আমার নাম এমিলি। আমার মালিক ১৯৬১ সালে থাকতেন এই বাড়িতে। তবে ওঁরা খুব সুখী মানুষ ছিলেন। আমার ভাল লাগত না। তাই ওদের চলে যেতে হয়েছিল...’।
কোথায়, কী ভাবে যেতে হয়েছিল তা ব্যাখ্যা করে চিঠিতে এমিলি জানিয়েছে, ‘ওদের আমি কুপিয়ে খুন করেছিলাম। আশা করি তোমার কাছেও ছুরি আছে।’
এই চিঠি পাওয়ার পর জোনাথনের আত্মীয়রা তাঁকে অবিলম্বে বাড়ি ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যদিও জোনাথন সেই পরামর্শ শোনেননি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিশ্চিত কেউ মজা করার জন্যই এই কাজটি করেছেন। সুযোগ পেলে তিনিও এমন কাজ করতেন। তাই তিনি বাড়ি ছেড়ে যাবেন না।