টুইটার থেকে নেওয়া ছবি।
মাদক পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় একটি বিড়াল। তাকে রাখা হয় জেলের একটি বিশেষ সেলে। কিন্তু সেখান থেকেও সে পালিয়ে যায়। ভাবছেন, একে মাদক পাচারে অভিযুক্ত একটি বিড়াল, সেও আবার জেল থেকে পালিয়ে যায় কী করে? অদ্ভুত শুনতে লাগলেও এটাই সত্যি। এমনই একটি খবর মিলেছে প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা থেকে।
শ্রীলঙ্কার হাই সিকিউরিটি ওয়েলিকাডা জেলের এই ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। আজ, সোমবার সে দেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে এই খবর। শনিবার জেল কর্তৃপক্ষ একটি বিড়ালকে ধরে। যার গলায় একটি ছোট্ট প্লাস্টিকের প্যাকেটে প্রায় দু’ গ্রাম হেরোইন, দু’টি সিমকার্ড ও একটি মেমরি কার্ড ছিল। জেল কর্তৃপক্ষ বুঝতেই পারে, বিড়ালকে ব্যবহার করে জেলের ভিতর মাদক এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ জিনিস পাচারের চেষ্টা চলছিল।
শনিবার বিড়ালটিকে ধরে জেলেরই একটি বিশেষ সেলে রাখা হয়। কিন্তু রবিবার দেখা যায় বিড়ালটি সেখানে নেই, পালিয়ে গিয়েছে। সোমবার শ্রীলঙ্কার সংবাদপত্র ‘অরুণা’ এক পুলিশ আধিকারিককে উদ্ধৃত করে এ এখবর জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: মা-মেয়ের যুগলবন্দিতে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের শেষ ফিল্মের গান ভাইরাল
জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার এই কারাগারগুলিতে মাদক পাচারের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অনেক সময় পাঁচিলের ওপার থেকে জেলের মধ্যে মাদক বা অন্যান্য নিষিদ্ধ জিনিসপত্র ছুড়ে দেওয়া হয়। স্বাভাবিক ভাবেই কখনও তা জেল কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ে। আবার কখনও তা নজর এড়িয়ে বন্দিদের হাতে পৌঁছে যায়।
আরও পড়ুন: সজারুর পাল্লায় পড়ে কী অবস্থা হল দেখুন চিতাবাঘের!
গোটা শ্রীলঙ্কা জুড়েই মাদকের সমস্যা বেড়ে চলেছে বলে জানা গিয়েছে সে দেশের পুলিশ সূত্রে। গত সপ্তাহেই পুলিশ একটি ঈগলকে ধরে। তার মাধ্যমে কলম্বোর এক শহরতলিতে মাদক পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল। পশুপাখিদের এ ভাবে ব্যবহার করার ফলে মাদক পাচার রোখার সঙ্গে যুক্ত অফিসারদের কাজ আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে।