নিহত ৭৩

বন্যার্ত শিবিরে বিস্ফোরণ, জোড়া দুর্যোগে বিপর্যস্ত ঘানা

দু’দিনের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ঘানা। এই পরিস্থিতিতে ঘরছাড়া বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন রাজধানী আক্রার একটি পেট্রোল পাম্পে। তবে সেই আশ্রয়ই ঘাতকের রূপ নিল! ওই পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণ হয়ে প্রাণ গেল অন্তত ৭৩ জনের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আক্রা (ঘানা) শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৫ ০২:৫৬
Share:

দু’দিনের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ঘানা। এই পরিস্থিতিতে ঘরছাড়া বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন রাজধানী আক্রার একটি পেট্রোল পাম্পে। তবে সেই আশ্রয়ই ঘাতকের রূপ নিল! ওই পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরণ হয়ে প্রাণ গেল অন্তত ৭৩ জনের।

Advertisement

বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে ধন্দ কাটেনি। দমকলকর্মীদের একাংশ মনে করছেন, টানা বৃষ্টিতে ওই পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি বন্যার জলে মিশেছে। তা আগুনের সংস্পর্শে আসার ফলেই এই বিস্ফোরণ।

ঘটনাস্থলে পৌঁছে বীভৎস দৃশ্য দেখে শিউরে উঠছেন দমকল ও পুলিশকর্মীরাও। কিছু দেহ উদ্ধার হয়েছে। বহু দেহ ধ্বংসাবশেষের নীচে এখনও চাপা পড়ে রয়েছে। তবে বন্যার জেরে উদ্ধার কাজে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। দু’দিন ধরেই সারা দেশে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আক্রার বহু এলাকাই জলের তলায়। ভেসে গিয়েছে ঘর-বাড়ি। কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাস্তাঘাট। যাঁদের ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে, তাঁরা মধ্য আক্রার কোয়ামি ক্রুমাহর কাছে একটি পেট্রোল পাম্পের ছাউনিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সে দিনই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, আশ্রিতদের কেউই রেহাই পাননি। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অন্তত ৭৩ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে আশঙ্কা, এখনও অনেক দেহ আটকে রয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলে বিস্ফোরণের যে দৃশ্য সম্প্রচার হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার পর ঘিরে ফেলা হয়েছে ওই এলাকা। মৃতদেহগুলি জড়ো করে একটি ট্রাকে তোলা হচ্ছে। ট্রাকটি থেকে উপচে পড়ছে দেহগুলি। পাশাপাশি, ধ্বংসস্তূপে তখনও চাপা পড়ে রয়েছে অগ্নিদগ্ধ দেহের অংশও। বিস্ফোরণের বেশ কয়েকটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের পর আশপাশের এলাকাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। ঘটনার সময় পেট্রোল পাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি ট্রাকের ভগ্নাবশেষও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।

দুর্যোগের জেরে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণে নড়েচড়ে বসেছে আক্রা প্রশাসন। টানা দু’দিনের বৃষ্টিতে আপৎকালীন পরিস্থিতি ঘোষণা করার কথা ভাবছে প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement