ভূমিকম্পের ফলে হেলে পড়েছে বহুতল। —ছবি: এক্স।
বুধবার সকালে কেঁপে উঠল পূর্ব এশিয়ার তাইওয়ানের একাংশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৪। প্রবল কম্পনের ফলে একাধিক বহুতল এক দিকে হেলে পড়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এখনও পর্যন্ত ন’জন মারা গিয়েছেন বলে স্থানীয় দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে। আহতের সংখ্যা ৭০০ জনেরও বেশি। জাপানের তরফে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় সময় অনুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ কেঁপে ওঠে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেই এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকা। ইউএসজিএস-এর তরফে জানানো হয়েছে, এই কম্পনের উৎসস্থল তাইওয়ানের দক্ষিণে হুয়ালিয়েন সিটি থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে ভূগর্ভ থেকে ৩৪.৮ কিলোমিটার গভীরে।
কম্পনের মাত্রা বেশি থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। ভূমিকম্পের ফলে শহর জুড়ে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, উঁচু উঁচু বহুতলগুলি এক দিকে হেলে পড়েছে। বাসিন্দারা সমাজমাধ্যমে তার ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন।
ভূমিকম্পের ফলে জাপানের দক্ষিণের দ্বীপগুলিতে সেখানকার আবহাওয়া দফতরের তরফে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন মিটার উঁচুতে জল আছড়ে পড়তে পারে বলে জাপানের আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপ-সহ অন্যান্য দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে মোতায়েন করা হয়েছে বিশেষ উদ্ধারকারী দল। সুনামির পূর্বাভাসের ফলে ওকিনাওয়ার নাহা বিমানবন্দরে প্রশাসনের তরফে বিমান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাপানের পাশে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে ফিলিপিন্সেও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় ২৫ বছর পর তাইওয়ানে এই ধরনের প্রবল ভূমিকম্প হয়েছে। এর আগে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাইওয়ানে ভূমিকম্পের ফলে মারা গিয়েছিলেন ২,৪০০ জন। এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৬।