রুশ ড্রোন হামলায় ধ্বংস ওডেসার শস্যাগার। ছবি: রয়টার্স।
রুশ হামলা অব্যাহত ইউক্রেনে। গত এক সপ্তাহ ধরে ড্যানিয়ুব নদী-বন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। সম্প্রতি এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি শস্যদানা মজুত রাখার ভান্ডার। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ৬০ হাজার টন শস্যদানা নষ্ট হয়েছে এই হামলায়, যার প্রভাব পড়তে পারে বিশ্ব বাজারে।
এ ঘটনায় চার জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে শোনা গিয়েছে। আজই রুশ নিরাপত্তা সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, তুরস্ক থেকে আসা একটি জাহাজে বিস্ফোরক পেয়েছে তারা। জাহাজটি শস্যদানা নিতে যাচ্ছিল বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। যদিও তা মানতে নারাজ রাশিয়া।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই প্রতিবেশী দেশগুলিতে পণ্য রফতানির জন্য ড্যানিয়ুব নদীকে ব্যবহার করা শুরু করেছে ইউক্রেন। রোমানিয়ার সংবাদমাধ্যমের তরফে বলা হয়েছে, রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর এই প্রথম তাদের দেশের এত কাছাকাছি হামলা চলল। সে দেশের সেনা ও নাবিকেরাও নদীর পার থেকে বিস্ফোরণের আলো দেখতে পেয়েছেন। কিছু সময় অন্তর বিস্ফোরণের শব্দও শুনতে পাওয়া গিয়েছে।
রাশিয়াও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে। তারা দাবি করেছে, মস্কো আর ক্রাইমিয়াতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। তাদের আরও দাবি, গত মে মাস থেকে একটি জাহাজকে ইউক্রেনের কিলিয়া বন্দরে দেখা যায়। ইউক্রেনের বক্তব্য, জাহাজটিতে শস্যদানা রয়েছে। যদিও তা মানতে নারাজ মস্কো। তাদের দাবি, সেই জাহাজে করে বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ইউক্রেনে। এ ভাবে চলতে থাকলে মস্কোর তরফেও কঠিন পদক্ষেপ করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে তারা।
এরই মাঝে, আজ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিয়ো। তাতে দেখা যায়, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক নবদম্পতির সঙ্গে হাসিমুখে ছবি তুলছেন। ক্রনস্টাডের এই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজ়েনরা নানা রকমের মন্তব্য করেন। তাঁদের অনেকের মতে, এক দিকে যুদ্ধের নির্দেশ দিচ্ছেন, অন্য দিকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ছবি তুলে ভাবমূর্তি বদলের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন।