দু’মাস ধরে নাগাড়ে পেটে যন্ত্রণা। শেষমেশ সহ্য করতে না পেরে চিকিৎসকের কাছে ছুটেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত মুখ দিয়ে বের হল ছয় ফুট লম্বা একটি ফিতাকৃমি। যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেলেন ৪৮ বছরের ওই ব্যক্তি।
পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ইংল্যান্ডের কেমব্রিজে অ্যাডেনব্রোকস হাসপাতালে এসেছিলেন ওই ব্যক্তি। যন্ত্রণার কারণ প্রথমে ধরতে পারেননি চিকিৎসকরাও। শুরু হল পরীক্ষা-নিরীক্ষা। প্রাথমিক ভাবে চিকিত্সকেরা মনে করেছিলেন ওই ব্যক্তির কোলনের মধ্যে রয়েছে কৃমি। আর সেই জন্যই হচ্ছে প্রচণ্ড যন্ত্রণা। আন্দাজটা ঠিকই ছিল, কিন্তু কৃমির ‘বাসস্থান’ বুঝতে ভুল হয়েছিল চিকিত্সকদের। ভুল হয়েছিল কৃমির আকার বুঝতেও। পরীক্ষার পরে দেখা যায় বিশাল একটি ফিতাকৃমি ওই ব্যক্তির কোলনে নয় কুণ্ডলী পাকিয়ে রয়েছে ক্ষুদ্রান্ত্রের মধ্যে।
অ্যাডেনব্রোকস হাসপাতালের চিকিৎসক সিরিয়াক ফিলিপস জানান, এরপরেই কৃমিটি মুখ দিয়ে বাইরে বের করে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেখা যায়, ফিতাকৃমিটির দৈর্ঘ্য প্রায় ছয় ফুট। চিকিৎসক ফিলিপস জানান, এর আগে এত বড় কৃমি তিনি কখনও দেখেননি।
আরও পড়ুন: ৬ দিন ফুসফুস দু’টি বার করে রেখে রোগীকে বাঁচালেন ডাক্তাররা!
পেট থেকে কৃমি বের করে আনার পর অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক ড্রাগও দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। যাতে কৃমির কোনও অংশ পেটে থেকে গেলে তা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু কোথা থেকে পেটের ভিতরে এসেছিল ওত বড় কৃমিটি?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ছয় ফুট লম্বা টিনিয়া সোলিয়াম বা ফিতাকৃমিটি ছিল আসলে একটি পর্ক টেপ ওয়ার্ম। যারা শূকরের পেটে থাকে। অনেক সময় গরুর পেটেও পাওয়া যায় এই ধরনের কৃমির লার্ভা। ভাল করে রান্না না করে অর্ধ সিদ্ধ শূকর বা গরুর মাংস খাওয়ার ফলেই শূকরের দেহ থেকে কৃমির লার্ভা চলে এসেছিল ওই ব্যক্তির দেহে। ধীরে ধীরে বাড়তে বাড়তে সেটি বিশালাকার ধারণ করে।