ছবি-- সংগৃহীত
কুকুরের মৃত্যুদণ্ড! আগে কখনও শুনেছেন? তবে এটাই হয়েছে পাকিস্তানের করাচিতে। এক আইনজীবীর উপরে হামলার ঘটনায় দু’টি জার্মান শেপার্ডের মৃত্যুদণ্ড হবে। অভিযোগকারী আইনজীবী ও কুকুর দু’টির মালিকের মধ্যে আদালতের বাইরে এই সমঝোতাই হয়েছে।
পাকিস্তানের একটি সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আইনজীবী মির্জা আখতার আলি সকালে হাঁটতে বেরিয়ে ছিলেন। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন খানের দু’টি জার্মান শেপার্ড তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। গুরুতর আহত হন আইনজীবী। সিসিটিভি-তে ওই আক্রমণের ভিডিয়ো ধরা পড়েছে।
ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পরে অনেকেই কুকুর মালিকের সমালোচনা করেছিলেন। অনেকেই আবাসিক এলাকায় বিশেষ জাতের কুকুর রাখা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সমালোচনার মুখে পড়ে বিষয়টি আপসে মিটিয়ে নিতে আইনজীবীকে অনুরোধ করেন কুকুর মালিক। আইনজীবী কুকুর মালিককে ক্ষমা করতে রাজি হন, তবে কয়েকটি শর্তে।
প্রথমত, কুকুর মালিক হুমায়ুন খান এই ঘটনার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইবেন। দ্বিতীয়ত, বাড়িতে আর কোনও বিপজ্জনক বা উগ্র কুকুর পুষবেন না। তৃতীয় শর্ত হল, এই ঘটনায় জড়িত দু’টি কুকুরকে অবিলম্বে একজন পশুচিকিত্সককে দিয়ে ‘মানবিক ভাবে হত্যা’ করাতে হবে। এ ছাড়াও, আর অন্য যে সব কুকুর রয়েছে তাদের ছেড়ে দিতে হবে।
উভয় পক্ষ ও সাক্ষীদের উপস্থিতিতে এই চুক্তি হয়। চুক্তির কাগজপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এ দিকে, পশু অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলি এই চুক্তিকে বেআইনি বলে অভিহিত করেছেন।