মঙ্গলবার কঙ্গোয় হিংসাত্মক বিক্ষোভ হয়। ছবি: রয়টার্স।
রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা বাহিনীর হয়ে কঙ্গোয় কর্মরত অবস্থায় নিহত হলেন দু’জন বিএসএফ জওয়ান। মঙ্গলবারের এই ঘটনায় সে দেশের সশস্ত্র বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। জওয়ানদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
মঙ্গলবার কঙ্গোয় শান্তিরক্ষা বাহিনীর উপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অন্তত ৫০০ জনের একটি দল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওই দুই জওয়ান-সহ অন্তত ৫০ জন মারা গিয়েছেন বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। ওই হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।
সীমান্তরক্ষা বাহিনীর জওয়ানদের অকালমৃত্যুতে তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করে এই ঘটনার সুবিচার দাবি করেছেন তিনি।
বিএসএফের সূত্রে খবর, চলতি বছরের মে মাস থেকে কঙ্গোয় রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা বাহিনী বা মোনুস্কো-র হয়ে সে দেশে কর্মরত ছিলেন ওই দুই জওয়ান-সহ অন্তত ৭৪ জন। বিএসএফের মুখপাত্র বলেন, ‘‘মোনুস্কো-র তরফে ২৬ জুলাই কঙ্গোর বুটেম্বোতে দুই জওয়ানকে মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে হিংসাত্মক হামলায় গুরুতর জখম হন তাঁরা। তাতেই মৃত্যু হয় দুই জওয়ানের।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, সোমবার থেকেই মোনুস্কো-র বিরুদ্ধে গোটা কঙ্গোয় বিক্ষোভে নেমেছিলেন স্থানীয়েরা। সে দিন শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ দেখালেও মঙ্গলবার তা হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার গোমা নামে একটি জায়গায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। বেনি এবং বুটেম্বোতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। অভিযোগ, বিএসএফ জওয়ানদের শিবির ঘিরে ধরেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন প্রায় ৫০০ জন। পুলিশ এবং সেনা আসার আগেই সেই বিক্ষোভ হিংসাত্মক রূপ নেয়। ওই হামলায় নিহত হন দু’জন জওয়ান।