জ্বলছে আজ়ারবাইজানের ট্যাঙ্ক।—ছবি পিটিআই।
বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আজ সংঘর্ষ শুরু হয়েছে আজ়ারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে। আর্মেনিয়ার দাবি, আজ়ারবাইজানের দুটি হেলিকপ্টার গুলি করে নামিয়েছে তারা। তিনটি ট্যাঙ্কেও আঘাত হেনেছে। যা মানতে রাজি নয় আজ়ারবাইজান। নাগারনো-কারাবাখ আঞ্চলিক প্রশাসনের দাবি, এক শিশু-সহ ১৬ জন স্থানীয় বাসিন্দা নিহত হন। আহত হয়েছেন ১০০ জন।
আর্মেনীয় অধ্যুষিত নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আজ়ারবাইজান ও আর্মেনিয়ার বিবাদ দীর্ঘদিনের। ১৯৯৪ সালের লড়াইয়ের পর থেকে তা আর্মেনিয়ার মদতে পুষ্ট আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে। ২০১৬ সালে ওই এলাকায় সংঘর্ষে ১১০ জন নিহত হয়েছিলেন। কূটনীতিকদের মতে, ওই এলাকায় যে কোনও সংঘর্ষে রাশিয়া ও তুরস্কের জড়়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। এ দিনই বিবৃতি দিয়ে মিত্র দেশ আজ়ারবাইজানের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে তুরস্ক। অন্য দিকে রাশিয়ার তরফে অবিলম্বে সংঘর্ষ বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। কারাবাখের আর্মেনীয় নেতাদের দাবি, তুরস্ক ও অন্য দেশ থেকে ভাড়াটে সেনাদের এই লড়াইয়ের জন্য আজ়েরবাইজানে আনা হয়েছে। সংঘর্ষবিরতির আর্জি জার্মানি, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও।
এ বার লড়াই কেন শুরু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। আর্মেনিয়ার দাবি, আজ়ারবাইজানের সেনাই প্রথমে হামলা চালিয়েছে। নিশানা করা হয়েছে নাগোরনা-কারাবাখ এলাকার রাজধানী স্টেপনাকার্ট-সহ কয়েকটি শহরকে। আজ়ারবাইজানের পাল্টা দাবি, আর্মেনিয়ার হামলার পরেই পাল্টা পদক্ষেপ করা হয়েছে। আজ টেলিভিশনে আজ়ারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহ্যাম আলিয়েভ বলেন, ‘‘আমরা বৈধ স্বার্থ রক্ষার জন্য লড়ছি। আমাদের জয় হবেই। কারাবাখ আজ়ারবাইজানেরই অংশ।’’ ফেসবুকে ‘মাতৃভূমি’কে রক্ষার ডাক দিয়েছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নিকোল পেশনিয়ান।