চিকিৎসা চলছে এক আহতের। শুক্রবার হুয়া হিনে। ছবি: এএফপি।
ব্যাঙ্ককের ভয়াবহ বিস্ফোরণের এক বছরের মধ্যেই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল তাইল্যান্ড! বুধবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তেরোটি বিস্ফোরণ হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। দেশের যে সব অংশে সব সময় পর্যটকদের ভিড় থাকে, সেই সব জায়গাই এ বারের হামলার নিশানায় ছিল। এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার সকালে নিহত হয়েছেন ৩ জন। আহত অন্তত ৩৫ জন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই বিদেশি পর্যটক। বুধবার রাতেই এক বিস্ফোরণে এক জনের মৃত্যু হয়েছিল।
গত বছর অগস্ট মাসে ব্যাঙ্ককের ইরাওয়ান মন্দিরের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছিল। নিহত হয়েছিলেন ২০ জন। জখম হয়েছিলেন ১২৫। এ দিনের বিস্ফোরণ ফের সেই ঘটনার কথাই মনে করিয়ে দিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। পুলিশ জানিয়েছে, এই বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, হামলার পিছনে কোনও স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী রয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল?
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাইল্যান্ডের রিসর্ট শহর হুয়া হিনে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দু’টি বিস্ফোরণ হয়। রাস্তার ধারে ফুলের টবে রাখা ছিল বিস্ফোরক। বিস্ফোরণে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। আজ সকালে ওই শান্ত শহর ফের কেঁপে ওঠে জোড়া বিস্ফোরণে। তখনও কয়েক জন বিদেশি পর্যটক জখম হন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইতালীয়, ডাচ, জার্মান ও অস্ট্রীয় পর্যটক।
শুধু হুয়া হিনই নয়, এ দিন সকালে তাইল্যান্ডের অত্যন্ত জনপ্রিয় ফুকেতের পাতং সমুদ্র সৈকতেও দু’টি বিস্ফোরণ হয়। তবে সেখানে হতাহতের কোনও খবর নেই। বুধবার পাতংয়েই একটি বিস্ফোরণে এক খাবার বিক্রেতা নিহত হয়েছিলেন। এ ছাড়া, তাইল্যান্ডের দক্ষিণ প্রদেশের ত্রাং এবং সুরাত তানি শহরেও দু’টি বিস্ফোরণ হয়েছে। ওই দুই শহরে আরও দু’জন নিহত হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য, ওই এলাকাগুলো এমনিতেই দেশ-বিদেশের পর্যটকের ভিড়ে জমজমাট থাকে। ফলে পর্যটকদেরই হামলার নিশানা করা হয়েছে বলে সন্দেহ। ছোটখাটো বোমাবাজির ঘটনা তাইল্যান্ডে নতুন নয়। তবে পর্যটকদের নিশানা করে এমন হামলা বিরল। ওই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরেই দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে আঁটোসাঁটো করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।