হামলা, মিথ্যা মামলা চলছে, বোঝাবে বামেরা

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করার পরেও বাম নেতা-কর্মীদের উপরে আক্রমণ বন্ধ না হওয়ায় এ বার সরাসরি মানুষের দরবারে যাচ্ছে বামেরা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে রাজ্য বামফ্রন্টের তরফে প্রচারপত্র বিলি করা হবে রাজ্যবাসীর কাছে। জেলা বামফ্রন্ট প্রচারপত্র বণ্টনের দায়িত্ব নেবে। প্রতিবাদও হবে রাস্তায় নেমে। আলিমুদ্দিনে বুধবার ফ্রন্টের বৈঠকের পরে বুধবার ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ৯ জুন তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবিপত্র নিয়ে গিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৪ ০৪:০২
Share:

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করার পরেও বাম নেতা-কর্মীদের উপরে আক্রমণ বন্ধ না হওয়ায় এ বার সরাসরি মানুষের দরবারে যাচ্ছে বামেরা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে রাজ্য বামফ্রন্টের তরফে প্রচারপত্র বিলি করা হবে রাজ্যবাসীর কাছে। জেলা বামফ্রন্ট প্রচারপত্র বণ্টনের দায়িত্ব নেবে। প্রতিবাদও হবে রাস্তায় নেমে।

Advertisement

আলিমুদ্দিনে বুধবার ফ্রন্টের বৈঠকের পরে বুধবার ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ৯ জুন তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবিপত্র নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফল কিছু দেখাই গেল না! কিছু ঘটলেই বাম কর্মী-নেতাদের নাম জড়ানো হচ্ছে জোর করে। বিভিন্ন জায়গায় বাম কর্মীরা আক্রান্তও হচ্ছেন। সরকারের ভূমিকার নিন্দা করে বিমানবাবু বলেন, “রায়দিঘিতে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কলহে খুন হল। কিন্তু কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে এফআইআর হল! বিমল ভাণ্ডারীকে মিথ্যা মামলায় ধরা হল।” বাম নেতাদের অভিযোগ, পুলিশ-প্রশাসনকে আগে থেকেই বলা হচ্ছে, কিছু হলে বামপন্থীদের নাম যুক্ত করতে হবে। প্রশাসন তাই করছে।’’ বিমানবাবুর প্রশ্ন, “কী ভাবে তদন্তের আগেই বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করে বলা হল, রায়দিঘি বা ভদ্রেশ্বরের ঘটনায় বামেরা যুক্ত? এ ঘটনা নজিরবিহীন! তার অথর্, আগাম যড়যন্ত্র করেই এ কাজ করা হচ্ছে।”

নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিমানবাবুদের বৈঠকের পরে বাম শিবিরেরই নিচু তলায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, কর্মী-সমর্থকেরা যখন মার খাচ্ছেন, তখন বাম নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ‘ফিশফ্রাই কূটনীতি’ করতে গিয়েছেন! পরিস্থিতি সামলাতে বাম নেতারা ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, তাঁরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ১০ দিন অপেক্ষার পরেও সেই অভিযোগে যে কাজ হয়নি, এ বার রাস্তায় নেমে মানুষকে তা বোঝানো শুরু করতে চান বিমানবাবুরা। ২৫-২৭ জুন ধর্মতলায় অবস্থান থেকেই সে কাজে নামছে বামেরা। অবস্থানে দক্ষিণবঙ্গের জেলার নেতা-কর্মীরা আসবেন। জেলায় কী ভাবে তৃণমূলের হাতে বাম কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তা নিয়ে নেতারা বলবেন। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে অবস্থানে সাজানো মামলায় অভিযুক্ত থেকে ২০১৪-র তৃণমূলের হাতে খুন শহিদ পরিবারকেও আসবে। বামেদের অভিযোগ, তৃণমূলের হামলায় ৪৮ হাজার বাম কর্মী ঘরছাড়া। ২৫ জুন থেকেই ভাড়াবৃদ্ধির দাবিতে বাস ধর্মঘট। বিমানবাবুর আশঙ্কা, “বাস মালিকদের বড় অংশ তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। বামেদের কর্মসূচি আছে বলে হয়তো আলোচনা করেই তাঁরা এটা করছেন! যাতে মানুষ না আসতে পারেন!”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement