বুধবারের মিছিলে সূর্যকান্ত মিশ্র এবং অন্য বাম নেতাদের সঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি সমরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়।—নিজস্ব চিত্র।
সারদা-সহ নানা বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থায় গচ্ছিত অর্থ ফেরত চেয়ে ফের মিছিল হল কলকাতার রাজপথে। রাজ্য সরকার-বিরোধী নানা স্লোগানের পাশাপাশিই সেই মিছিল থেকে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা হল কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবি-র উপরেও। ‘অল ইন্ডিয়া স্মল ডিপোজির্টাস অ্যান্ড ফিল্ড ওয়াকার্স অ্যাকশন কমিটি’র ডাকে বুধবার কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, সিপিএমের শ্যামল চক্রবর্তী, সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা, বাম নেতা মনোজ ভট্টাচার্য, অমিতাভ মজুমদার-সহ রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি দেখা গিয়েছে প্রাক্তন বিচারপতি সমরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কেন্দ্রীয় আইন সংশোধন হওয়া সত্ত্বেও সেবি কেন প্রতারক অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করছে না, সেই প্রশ্ন উঠেছে মিছিল থেকে। আমানতকারীদের এক দল প্রতিনিধি সেবির আঞ্চলিক দফতরে গিয়ে টাকা ফেরতের দাবিও জানিয়ে এসেছেন।
মানবাধিকার দিবস ছিল এ দিনই। সেই দিনেই বেশ কয়েক হাজার আমানতকারী, এজেন্টদের মিছিলে যোগ দিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি সমরেশবাবু বলেন, “রাজ্যের কয়েক লক্ষ মানুষ সর্বস্ব হারিয়েছেন। এ দিনটাকে মাথায় রেখেই তাঁদের অধিকার সুরক্ষার দাবিতে পথে নেমেছি। ওঁদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য হলেও তা করা হচ্ছে না। যত দিন না ওঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে, আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। তাঁদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে হবে।” শ্যামল সেন কমিশন ঝাঁপ বন্ধ করতেই টাকা ফেরতের দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার করেছেন বিরোধীরা। গত সপ্তাহে কলকাতা জেলা সিপিএমের মিছিলের পরে এ দিনের কর্মসূচিতেও সাড়া মিলেছিল ভালই। ‘ধাপ্পাবাজ সরকার, আর নেই দরকার’, ‘লুটেরার সরকার, আর নেই দরকার’ জাতীয় স্লোগানে ভরে উঠেছিল সড়ক।
বিরোধী দলনেতা সূর্যবাবু বলেন, “কান টানলে মাথা আসবে। মাথাগুলোকে ধরতে হবে। এখনও তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে!” মুখ্যমন্ত্রীকে কেন সিবিআই জেরা করছে না, ফের সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। রাজ্যের মন্ত্রী মদন মিত্রকে ফের সমন পাঠিয়েছে সিবিআই। বাংলার চালু প্রবচন একটু অদলবদল করে সেই প্রসঙ্গে এ দিন সিপিএম নেতা শ্যামলবাবু বলেন, “আমরা বলছি মঙ্গলে ঊষা, বুধে পা, এ বার মদন জেলে যা!”