মমতার দ্বারস্থ শোভনদেব

গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব কাটাতে দলের সব ক’টি শ্রমিক সংগঠকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা। আবার সেই চেষ্টাতেও গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব! ফলে সমস্যা বাড়ছে তৃণমূলে। শিলিগুড়িতে তৃণমূলের শ্রমিক নেত্রী দোলা সেনের নেতৃত্বে আইএনটিটিইউসি-র সভার জেরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন তৃণমূলের প্রবীণ শ্রমিক নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। দলের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূল নেত্রী যখন দলের সব ক’টি শ্রমিক সংগঠনকে এক ছাতার তলায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন, সেই সময়ে আইএনটিটিইউসি-র এক সংগঠনকে নিয়ে দোলা সভা করায় সেই প্রচেষ্টা ব্যাহত হবে। এই ব্যাপারেই মমতার সঙ্গে কথা বলতে চান শোভনদেব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:৪০
Share:

দোলা সেন ও শোভনদেব

গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব কাটাতে দলের সব ক’টি শ্রমিক সংগঠকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা। আবার সেই চেষ্টাতেও গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব! ফলে সমস্যা বাড়ছে তৃণমূলে।

Advertisement

শিলিগুড়িতে তৃণমূলের শ্রমিক নেত্রী দোলা সেনের নেতৃত্বে আইএনটিটিইউসি-র সভার জেরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন তৃণমূলের প্রবীণ শ্রমিক নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। দলের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূল নেত্রী যখন দলের সব ক’টি শ্রমিক সংগঠনকে এক ছাতার তলায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন, সেই সময়ে আইএনটিটিইউসি-র এক সংগঠনকে নিয়ে দোলা সভা করায় সেই প্রচেষ্টা ব্যাহত হবে। এই ব্যাপারেই মমতার সঙ্গে কথা বলতে চান শোভনদেব।

শোভনদেববাবু তাঁর ক্ষোভের কথা জানিয়ে শুক্রবার বলেন, “তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে দলের সব ক’টি শ্রমিক সংগঠনকে এক ছাতার তলায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দোলা একক ভাবে শিলিগুড়িতে সভা করায় সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়া ধাক্কা খাবে। আমি মমতাকে বিষয়টি জানাব।” ওই সভায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী যাবেন বলে আয়োজকরা প্রচার করেছিলেন। সুব্রতবাবু শেষ পর্যন্ত সভায় যাননি। শোভনদেববাবুর মতে, সভায় না গিয়ে তিনি সঠিক পদক্ষেপ করেছেন। শিলিগুড়ির সভা নিয়ে দলের চা শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন আইএনটিটিইউসি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও। তিনি জানান, এ মাসের শেষে তিনি শিলিগুড়ি গিয়ে চা শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন।

Advertisement

দোলার পাল্টা অভিযোগ, শিলিগুড়ির সভা নিয়ে ‘অযথা জল ঘোলা করা হচ্ছে’। তাঁর বক্তব্য, দলের শ্রমিক সংগঠনের কোনও কমিটি গঠন বা একাধিক সংগঠন সংযুক্তির জন্য তাঁরা সভার আয়োজন করেননি। চা শ্রমিকদের মজুরি সংক্রান্ত একটি চুক্তি রাজ্য সরকার করতে চাইছে। কিন্তু সিটু, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-সহ কয়েকটি সংগঠনের বিরোধিতায় ওই চুক্তি বাস্তবায়িত করা যাচ্ছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement