প্রশাসনিক কাজে উপাচার্যের সঙ্গে অসহযোগিতার পথে অনড় জুটা

উপাচার্যের সঙ্গে অসহযোগিতার পথ থেকে আপাতত সরছে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন (জুটা)। ‘বোর্ড অব স্টাডিজ’, ‘ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল’ কিংবা পিএইচডি সংক্রান্ত কাজকর্মের প্রয়োজনে উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও, প্রশাসনিক কাজে উপাচার্যকে কার্যত বয়কটই করে চলবে ওই সংগঠন। পাশাপাশি বহাল থাকবে উপাচার্য পদ থেকে অভিজিৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবিও। বৃহস্পতিবার সাধারণ সভার বৈঠকের পরে এ কথাই জানিয়েছেন জুটা-র সম্পাদক নীলাঞ্জনা গুপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ডাকার বিরোধীতায় ক্যাম্পাসে মিছিল, কনভেনশনও করবে জুটা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৫৩
Share:

উপাচার্যের সঙ্গে অসহযোগিতার পথ থেকে আপাতত সরছে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন (জুটা)। ‘বোর্ড অব স্টাডিজ’, ‘ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল’ কিংবা পিএইচডি সংক্রান্ত কাজকর্মের প্রয়োজনে উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও, প্রশাসনিক কাজে উপাচার্যকে কার্যত বয়কটই করে চলবে ওই সংগঠন। পাশাপাশি বহাল থাকবে উপাচার্য পদ থেকে অভিজিৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবিও। বৃহস্পতিবার সাধারণ সভার বৈঠকের পরে এ কথাই জানিয়েছেন জুটা-র সম্পাদক নীলাঞ্জনা গুপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ডাকার বিরোধীতায় ক্যাম্পাসে মিছিল, কনভেনশনও করবে জুটা।

Advertisement

নীলাঞ্জনাদেবী এ দিন বলেছেন, “শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে আমরা থাকব। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকারা জড়িত থাকবেন না বলে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তা-ই বহাল আছে।” তাঁর দাবি, সকলকে পরিচয়পত্র দেখিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে হবে বলে যে নির্দেশ আদালত দিয়েছে, তা কার্যকর করার মতো পরিকাঠামোই যাদবপুরে নেই। এই কথাটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে আদালতের কাছে জানাতে হবে বলে দাবি করেছে জুটা। নীলাঞ্জনাদেবী বলেছেন, “আগামী সোমবার, ১৩ অক্টোবর, বিশ্ববিদ্যালয় খুললে রেজিস্ট্রার প্রদীপ ঘোষের কাছে গিয়ে এই দাবি জানাব।”

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে পুলিশি তাণ্ডবের পর থেকেই ঘটনার নিন্দায় অভিজিৎবাবুর পদত্যাগ দাবি করে এসেছে জুটা। কিন্তু এখন অভিজিৎবাবুকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেছেন আচার্য-রাজ্যপাল। জুটা তাই কিছুটা চাপে। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসে যাদবপুরের ওই শিক্ষক সংগঠন।

Advertisement

বৈঠকের পরে জুটা-র সদস্যেরা জানিয়েছেন, পঠনপাঠনের ক্ষতি কোনও দিনই চাননি তাঁরা। এখনও চান না। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর যাতে নিয়মিত ভাবে পড়াশোনা চালু হয়, সেই চেষ্টাই করবেন। যদিও ছাত্রছাত্রীরা এখনও ক্লাস বয়কট করে আন্দোলনের পথেই অনড়।

নীলাঞ্জনাদেবী এ দিন বলেন, “আগামী ১৬ অক্টোবর ক্যাম্পাসে মিছিল হবে। কনভেনশন হবে ২২ অক্টোবর। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক অবস্থা কী ভাবে ফেরানো যায়, তা-ই হবে কনভেনশনের মূল আলোচ্য বিষয়। উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ সংবলিত একটি শ্বেতপত্রও প্রকাশ করা হবে ওই দিন।” তবে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে ক্যাম্পাসে যে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানো সম্ভব নয়, সে ব্যাপারে এখনও একমত জুটা-র বেশির ভাগ সদস্য।

অভিজিৎবাবু অবশ্য আগেই জানিয়েছেন, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় খুললে কাজে যোগ দেবেন তিনি। তার আগে এ নিয়ে কথাই বলবেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement