প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্র সংরক্ষণের দাবি

উনিশ শতকের দু’টি ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যময় মুদ্রণযন্ত্র উদ্ধার হয়েছে বর্ধমানে। বর্ধমান রাজবাড়ির পূর্বভাগে আঞ্জুমান কাছারিতে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের অফিসের ভিতর থেকে বর্ধমান রাজ সম্পর্কিত ওই প্রাচীন যন্ত্র দুটি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর, বর্ধমান জেলা প্রশাসন সেই কাজে সাহায্য করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ০১:০১
Share:

বর্ধমানের ভূমি দফতরে রাখা সেই যন্ত্র। ছবি: উদিত সিংহ।

উনিশ শতকের দু’টি ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যময় মুদ্রণযন্ত্র উদ্ধার হয়েছে বর্ধমানে। বর্ধমান রাজবাড়ির পূর্বভাগে আঞ্জুমান কাছারিতে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের অফিসের ভিতর থেকে বর্ধমান রাজ সম্পর্কিত ওই প্রাচীন যন্ত্র দুটি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর, বর্ধমান জেলা প্রশাসন সেই কাজে সাহায্য করেছে। দীর্ঘ দিন ধরে একটি গুদামে অবহেলিত অবস্থায় পড়ে ছিল এই দুটি ‘অ্যালবিয়ন প্রেস’। বাংলা মুদ্রণের ইতিহাসে বর্ধমান রাজপরিবারের পৃষ্ঠপোষণার কথা সুপরিচিত হলেও সে কালের কোনও মুদ্রণযন্ত্র এর আগে বর্ধমানে সংরক্ষিত হয়নি।

Advertisement

যন্ত্র দু’টির সংরক্ষণের জন্য বর্ধমান জেলা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছে ‘বর্ধমান ইতিহাস সন্ধান’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ওই সংস্থার তরফে গিরিধারী সরকার জানান, গত ৩০ বছর ধরে তাঁরা জেলার যে লুপ্তপ্রায় প্রাচীন ঐতিহাসিক স্মারক উদ্ধার, নথিবদ্ধকরণ ও সংরক্ষণের চেষ্টা করছেন, এই মুদ্রণযন্ত্র দু’টি পুনরুদ্ধার তার অন্যতম বড় সাফল্য। সংস্থার পক্ষ থেকে গিরিধারীবাবুরা বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি সংস্কার) অশোক সাহাকে একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, এই মুদ্রণযন্ত্র দু’টিকে কেন্দ্র করে অনুসন্ধানে বর্ধমান এবং বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে নতুন মাত্রা যোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সেগুলি নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ ও প্রদর্শন জরুরি। তাঁদের আশা, এমন কেন্দ্র হলে বর্ধমান-সহ বাংলার নানা প্রান্তে যে সব স্মারক অবহেলায় ছড়িয়ে রয়েছে সেগুলি একত্র করা যাবে। বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক তথা রাজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ও এ ব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement