লোকসভা ভোটের পরে অন্য কোনও দলের সাহায্য ছাড়াই বিজেপি কেন্দ্রে সরকার গড়তে পারবে বলে দাবি করলেন দলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু। দলের ৩৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কলকাতায় এসে ভোটের পরে তৃণমূলের সাহায্য নেওয়া সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে রবিবার এমন কথাই বলেছেন বেঙ্কাইয়া।
কলকাতায় দলের রাজ্য দফতরের সামনে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের একটি আবক্ষ মূর্তির উন্মোচনও করেন বেঙ্কাইয়া। পরে তিনি দাবি করেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই আড়াইশো আসন পাবে। এনডিএ জোটের অন্যান্য শরিকের আসন যোগ করলে সংখ্যাটা ৩০০ ছাড়িয়ে যাবে। তাই তৃণমূলের সাহায্য নিতে হবে না। এর আগে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতারা কলকাতায় এসে প্রাক্তন জোটসঙ্গী তৃণমূল সম্পর্কে নরম অবস্থানই নিয়ে গিয়েছেন। কিছু দিন আগে কলকাতায় এসে বেঙ্কাইয়াও তৃণমূল সম্পর্কে নীরব ছিলেন। সম্ভাবনার দরজা খোলা রাখতেই ওই কৌশল ছিল বলে বিজেপি সূত্রের ব্যাখ্যা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ভোটের প্রচারে গিয়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন। তার পরেই বেঙ্কাইয়া এমন মন্তব্য করেছেন বলে বিজেপি সূত্রের মত।
বেঙ্কাইয়ার এ দিনের ছাপানো বিবৃতিতে অবশ্য তৃণমূল সম্পর্কে কোনও কথা নেই। বরং, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের প্রবল সমালোচনাই করা হয়েছে। তিনি বলেন, “এ বার কংগ্রেস জমানার অবসান হবে। একই সঙ্গে শেষ হবে পারিবারিক রাজেরও!”
তৃণমূল সম্পর্কে বিজেপি কৌশলী অবস্থান নিয়ে চললেও বামেরা অবশ্য দু’দলের গোপন আঁতাঁতের অভিযোগ ছাড়তে নারাজ। এ দিনই সিপিএমের পুস্তিকা সিরিজে ‘বিকাশ পুরুষ, বিনাশ নীতি’ শীর্ষক বইটির উদ্বোধন করতে গিয়ে দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু বলেন, “বিকাশ পুরুষের (নরেন্দ্র মোদী) সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের কথা এই বইয়ে বিস্তারিত ভাবে লেখা আছে। দু’টো দলের মধ্যে গড়াপেটা আছে। সময়-সুযোগ ঠিক করে দেয়, কখন সমর্থন করতে হবে, কখন বিরোধিতা করতে হবে!” প্রচারে বিজেপি-র বিরুদ্ধে বললেও ভোটের পরে প্রয়োজনে তাদের পরোক্ষে সমর্থন দিতে তৃণমূলের অসুবিধা হবে না বলেই বিমানবাবু বোঝাতে চেয়েছেন। আগে প্রকাশিত অন্য দু’টি পুস্তিকার হিন্দি ও উর্দু অনুবাদও এ দিন প্রকাশ করেছে সিপিএম।