রাজ্যে ডাক্তারি পড়ার আসন কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে দরবার করল সিপিএম। একই দিনে সিপিএম সাংসদদের একটি প্রতিনিধিদল বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের দ্বারস্থ হল ইরাকে আটক ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আর্জি নিয়ে। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে এই প্রথম তাদের কাছে দরবার করল সিপিএম। এবং তা এ রাজ্যের বিষয়ে শাসক দল তৃণমূল দিল্লিতে সক্রিয় হওয়ার আগেই!
এমবিবিএস কোর্সে এ রাজ্যের এক হাজার ৪৫টি আসন সম্প্রতি কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (এমসিআই)। পরে তারা ৪০০ আসনের অনুমোদন ফিরিয়ে দিলেও ৬৪৫টি আসনের ভাগ্য এখনও অনিশ্চিত। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে সরকারি স্তরে চাপ সৃষ্টির কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই আসনগুলির অনুমোদন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি নিয়েই বুধবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব বিশ্বাস মেটার সঙ্গে দেখা করেন সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এখন বিদেশে। কিন্তু বিষয়টি জরুরি বলে সচিবের হাতেই দাবিপত্র তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
তাঁরা নিয়েছেন বলে এ দিন জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সূর্যবাবুর কথায়, “সরকার শুধু বেশি বেশি বেসরকারি কলেজের স্বার্থ দেখতে ব্যস্ত। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সরকারি শিক্ষায় তারা মনোযোগ দিচ্ছে না। একে বলে পরের বেলায় আঁটিশুটি, নিজের বেলায় দাঁতকপাটি!”
অতীতে রাজ্যে বাম সরকার কোনও বিষয়ে অস্বস্তিতে পড়লে বিরোধী দল হিসাবে তৃণমূল কখনওই সঙ্কট নিরসনে এগিয়ে আসত না। মেডিক্যালে আসন কমানোর বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে ঋতব্রতদের দরবারে বুঝিয়ে দেওয়া হল, রাজ্যের স্বার্থে গঠনমূলক বিরোধী দলের ভূমিকাই তাঁরা পালন করবেন এমনই ব্যাখ্যা করা হচ্ছে সিপিএম সূত্রে। ঋতব্রত স্বাস্থ্য মন্ত্রককে জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কলেজগুলিতে ডাক্তারি পড়ার জন্য যাঁরা ইতিমধ্যেই ভর্তি হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রাখা উচিত এমসিআইয়ের।