এক অংশে আটকে রয়েছে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের সম্প্রসারণের কাজ।
গাড়ির চাপ বেড়েই চলেছে। তাই কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে চার লেন করার পরিকল্পনা ছিল। রাস্তা চওড়া করার কাজও শুরু হয়েছে জোরকদমে। কিন্তু জমি সমস্যার জন্যে কাজ গতি হারিয়েছে নিমতার এম বি রোডের কাছে এসে।
কথা ছিল কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে বিমান এবং জাহাজ বন্দরের সঙ্গে ব্যারাকপুর, কল্যাণীর নতুন শিল্পাঞ্চলের যোগসূত্র হবে। দু’দফায় প্রথমে ব্যারাকপুর থেকে কল্যাণী পর্যন্ত, পরে ব্যারাকপুর থেকে ঘোলা ও নিমতা পর্যন্ত রাস্তা তৈরি হয়েছিল। বি টি রোডের চাপ কমাতে বেলঘরিয়ার পরে অনেকে এই রাস্তাকে ব্যবহার করলেও, বি টি রোড থেকে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত নিমতার এম বি রোড খুবই সঙ্কীর্ণ। ভারী ও বড় গাড়ি চলা নিষেধ। সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোডে যানজট এত বেশি যে দিনের বেলা বা সন্ধ্যায় ভারী ট্রেলার জাতীয় বড় গাড়ি ঢুকলে ট্রাফিক পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। আর ব্যারাকপুরের দিক থেকে ভারী গাড়ির কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে যাওয়ার বাধা উড়ালপুলের আগে সরু বাঁক। ফলে সেই বি টি রোডই ভরসা।
২০১০-এর শেষ দিকে ঘোলা থেকে নিমতা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধনে এসে তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য তাড়াতাড়ি জমি জট কাটিয়ে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েকে যুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এই কাজ হলে দমদম বিমানবন্দর থেকে কুড়ি মিনিটে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে পৌঁছনো যেত। কিন্তু নিমতার শরৎপল্লি, কেশব সেন স্ট্রিট, বিদ্যাসাগর পল্লির এক কিলোমিটার কিছু বেশি অংশে জমির সমস্যায় সম্প্রসারণ আটকে গিয়েছে। একাধিক বার রাস্তার মানচিত্র বদলালেও সমস্যার সমাধান হয়নি।
অন্য অংশে কাজ চলছে জোরকদমে।
বর্তমান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও বলেছেন, ‘‘জমি জট কাটিয়ে যত দ্রুত সম্ভব কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের কাজ সম্পূর্ণ হবে।’’ জট কাটাতে গত বছর এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে রাস্তা সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনায় বসেন স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। কিন্তু তাতেও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। যদিও বাসিন্দারা আশাবাদী। স্থানীয় বাসিন্দা রত্না সরকার বলেন, ‘‘আমরাও চাই দ্রুত রাস্তা তৈরি হোক। কিন্তু আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।’’
বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের প্রস্তাবে কম বাড়ি ভাঙা পড়বে। কিন্তু তা মানতে নারাজ কাজের দায়িত্বে থাকা কেএমডিএ। অন্য দিকে, সমীক্ষা করতে আসা ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, মাটির চরিত্র না বুঝে রাস্তা সম্প্রসারণ করলে রাস্তা ধসে যেতে পারে। ঘোলার
কাছে ইতিমধ্যেই একাধিক বার রাস্তা বসে গিয়েছে।
ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।