এনসেফ্যালাইটিসের উত্তাপ ছড়াল সংসদেও।
বুধবার সংসদে, এনসেফ্যালাইটিস রুখতে রাজ্য সরকার তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘ব্যর্থতা’ নিয়ে সরব হলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া। রাজ্যের সমালোচনার প্রশ্নে তিনি পাশে পেয়ে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও।
অধীর মঙ্গলবারই লোকসভার জিরো আওয়ারে বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন। দাবি ছিল, আক্রান্তদের কোনও চিকিৎসা হচ্ছে না। কেন্দ্রের বিবৃতিও দাবি করেন তিনি। ঘটনাচক্রে, বুধবার লোকসভায় জিরো আওয়ারে এনসেফ্যালাইটিস নিয়ে সরব হলেন সুরিন্দর। এনসেফ্যালাইটিস প্রতিরোধে রাজ্যের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে আক্রান্তদের। চিকিৎসাই হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী, অথচ ওই রোগে মৃত্যুর বিরাম নেই।” সংসদে উপস্থিত অধীর তাঁর দাবিকে সমর্থন করেন।
বিজেপি-কংগ্রেসের এই জোড়া আক্রমণের মুুখে এ দিন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “ইতিমধ্যেই রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা দুর্ভাগ্যজনক। এ ব্যাপারে আমাদের যা করার তা আগেও করেছি, এখনও করছি।”
দার্জিলিঙের সাংসদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়ে উত্তরবঙ্গে পাঠানোর আর্জি জানান। তিনি বলেন, “এখন মানুষকে বাঁচানোটাই সব চেয়ে বড় প্রশ্ন। সে জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি টিম গড়ুক কেন্দ্র। যাঁরা সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন।”
তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেন না বলেই কেন্দ্রের উদ্যোগী হয়ে মেডিক্যাল টিম পাঠানো জরুরি। এ ব্যাপারে অধীরের দাবি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের বিবৃতি। পরে অধীর বলেন, “আমি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য চিঠি পাঠিয়েছি। তাঁর কাছে কেন্দ্র কী ভূমিকা নিচ্ছে তা জানতে চাইব।”