তৃণমূল ভবনের সামনে ক্ষিতীশ মণ্ডলের সমর্থকদের ভিড়। ছবি: শৌভিক দে।
দোলের ২৪ ঘণ্টা আগে শনিবার বিকালে তপসিয়া তৃণমূল ভবনে লাল আর তেরঙার ছড়াছড়ি। রাজারহাট, নিউটাউন, বিধাননগর, দমদম এলাকার কয়েক শ’ সিপিএম কর্মী সমর্থকদের নিয়ে হাজির হয়েছেন বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। মিছিল করে সিপিএমের ওই কর্মী-সমর্থকরা তৃণমূল ভবন চত্বরে ঢুকলেন। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে তাঁদের দলে স্বাগত জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়।
ইদানিং অন্য দলের নেতা-জনপ্রতিনিধিদের তৃণমূলে যোগদান ‘নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা’ বলে মন্তব্য করেছেন মুকুলবাবু। এ দিন বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকার থেকে ক্ষিতীশ মণ্ডল, বিজন মণ্ডলের নেতৃত্বে কয়েকশ সিপিএম কর্মী-সমর্থকের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে মুকুলবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় যে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলেছে তাতে অংশ নিতে শুধু বিরোধী দলের নেতা বা জনপ্রতিনিধিই নন, এ বার সাধারণ কর্মী-সমর্থকরাও এগিয়ে এসেছেন।’’
এ দিন হুগলির ভদ্রেশ্বর পুরসভার প্রবীণ সিপিএম কাউন্সিলর মহম্মদ ইশাক এবং কংগ্রেস কাউন্সিলর সানা খানও তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির চার কংগ্রেস সদস্যও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
লোকসভা ভোটের আগে এই যোগদানের ঘটনা প্রসঙ্গে মুকুলবাবু বলেন, “এটা নিশ্চিত করে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। অন্য দলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের যোগদানে তৃণমূল আরও শক্তিশালী হবে।”