বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে দিলীপ ঘোষ ও লকেট চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার উত্তর কলকাতার বিনানি ধর্মশালায়। — নিজস্ব চিত্র।
আইন অমান্য আন্দোলনকে ঘিরে সম্প্রতি জেলায় জেলায় পুলিশের সঙ্গে তাদের খণ্ডযুদ্ধ বেধেছে। জখম হয়েছেন রাহুল সিংহ, দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে সিদ্ধার্থনাথ সিংহ, সুরেশ পূজারীর মতো কেন্দ্রীয় নেতারাও। এমন জঙ্গি আন্দোলনে দল কিছুটা চাঙ্গা হলেও ভোটে ফায়দা পেতে গেলে বুথ স্তরে সংগঠন গড়ে তোলায় নজর দিতে হবে বলে পরামর্শ দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্যে সংগঠন শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ঝাঁপানোর পাশাপাশি চলতি মাসেই কেন্দ্রীয় নেতারা এসে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সভা করে বিজেপি-র পালে হাওয়া তোলার চেষ্টা করবেন।
দলের তরফে এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রামলাল-সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের একটি ধর্মশালায় শুরু হয়েছে রাজ্য বিজেপি-র দু’দিনের বৈঠক। রাজ্য দলের পদাধিকারীরা এ দিনের বৈঠকে আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে সংগঠনের হাল-হকিকত নিয়ে আলোচনা করেছেন। গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব দূরে রেখে সংগঠনে জোর দেওয়ার কথাই এসেছে বৈঠকে। বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠকে আজ, শুক্রবার হাজির থাকবেন জেলা সভাপতিরা। বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন উপলক্ষে কলকাতা সফররত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিরও আজ কিছু সময়ের জন্য বৈঠকে হাজির হওয়ার কথা। ভোটের কথা মাথায় রেখেই রাজনৈতিক অভিমুখ ঠিক করতে আজ দলকে বার্তা দিতে পারেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, ১৮, ১৯, ২১ ও ২৫ জানুয়ারি মালদহ, বারাসত, বর্ধমান ও হাওড়ায় কেন্দ্রীয় নেতাদের এনে চারটি সমাবেশ করবে বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে ২৫ তারিখ নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।