বনগাঁ এবং কৃষ্ণগঞ্জের উপনির্বাচনে দলের দুই প্রার্থীর হয়ে প্রচারে ঝাঁপানোর জন্য রাজ্য স্তরের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের চিঠি পাঠালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি ওই দুই কেন্দ্রে ভোট। ইতিমধ্যেই বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী কুন্তল মণ্ডলকে নিয়ে দলের স্থানীয় স্তরে গোলমাল বেধেছে। দিন কয়েক আগে বনগাঁয় দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে গোলমাল বাধান কিছু কংগ্রেস কর্মী। কর্মীদের হাতে নিগৃহীত হন প্রার্থী। এই অবস্থায় দলের সাংসদ, বিধায়ক, প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের ঐক্যবদ্ধ করে দলের প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে ঝাঁপাতে চাইছেন অধীর।
কংগ্রেসের একাংশের অবশ্য অনুমান, অধীরের ওই আবেদনে ইতিবাচক সাড়া মেলার ইঙ্গিত বিশেষ নেই। কারণ একাধিক প্রদেশ নেতারই অভিযোগ, দলে নির্বাচনী কমিটি থাকা সত্ত্বেও সেখানে প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। প্রদেশ সভাপতি নিজেই প্রার্থী ঠিক করে তাঁদের নাম দিল্লিতে পাঠিয়েছেন। ফলে এখন সকলে মিলে প্রচারে ঝাঁপিয়ে খুব একটা লাভ হবে না। প্রাক্তন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, “রাহুল গাঁধী নিজে প্রদেশ নেতাদের সম্মিলিত ভাবে কাজ করার জন্য ১২ জনের একটা কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন। কিন্তু সম্মিলিত ভাবে কাজ তো হচ্ছেই না। প্রার্থী ঠিক করা নিয়েও আলোচনা হল না!” প্রদেশ সভাপতির অবশ্য যুক্তি, উপনির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য নির্বাচনী কমিটিতে সচরাচর আলোচনা হয় না।
অধীরের চিঠির জবাবে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত শুধু সোমেন মিত্র প্রদেশ কংগ্রেস দফতরকে জানিয়েছেন, ৬ ফেব্রুয়ারির পরে তিনি প্রচারে যেতে পারবেন। অধীর অবশ্য ইতিমধ্যেই তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন, দরকারে দলের সব নেতাকেই তিনি ডাকবেন। কিন্তু কেউ সাড়া না দিলে তাঁকে একলাই লড়তে হবে। উপনির্বাচনের ক্ষেত্রেও তাঁর ডাকে দলের নেতাদের তেমন সাড়া না পেলে অধীর নিজের টিম নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়বেন বলে প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর।