এ বার চক্রান্তের তত্ত্ব সাজিয়ে ক্রীড়া-ধর্না

বক্তারাই কার্যত শ্রোতা! ময়দানে গোষ্ঠ পালের মূর্তির পাদদেশে ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ক্রীড়াবিদদের ধর্না মঞ্চে বুধবার কুশীলব ছিলেন তৃণমূলের আইনজীবীরা। ধর্নার মূল আয়োজক ফুটবলার গৌতম সরকার ছাড়া এই আইনজীবীদেরই বেশির ভাগ এ দিন ছিলেন বক্তা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৩৪
Share:

ধর্না মঞ্চে আইনজীবীদের সঙ্গে সামিল খুদেরাও। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

বক্তারাই কার্যত শ্রোতা!

Advertisement

ময়দানে গোষ্ঠ পালের মূর্তির পাদদেশে ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ক্রীড়াবিদদের ধর্না মঞ্চে বুধবার কুশীলব ছিলেন তৃণমূলের আইনজীবীরা। ধর্নার মূল আয়োজক ফুটবলার গৌতম সরকার ছাড়া এই আইনজীবীদেরই বেশির ভাগ এ দিন ছিলেন বক্তা। আর শ্রোতাদের আসনেও তাঁদেরই উপস্থিতি চোখে পড়েছে।

একদিকে যেমন বেলায় মঞ্চের উপরে-নীচে আলো করে ছিলেন আইনজীবীরাই, তেমনই ধর্নার শুরুতে মঞ্চ ভরাতে আনতে হয়েছিল খুদেদেরও! কারও হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিলযদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চল রে। কারও হাতে প্লা্যাকার্ডে জ্বল জ্বল করছেহবে হবে জয়!

Advertisement

ধর্না মঞ্চ এ দিন অবশ্য অ-মাইক ছিল না। সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মাইকে সরব ছিল মঞ্চ। তবে পঞ্চম দিনের মঞ্চে ক্রীড়াবিদরা ছিলেন হাতে গোনা। দলের আইনজীবী-নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই কলকাতা, আলিপুর, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা তো বটেই, এমনকী বর্ধমান থেকেও এ দিন তৃণমূলের আইনজীবীদের একাংশ ধর্নায় অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, সিবিআই বেআইনি ভাবে মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের দাবি, পরিবহণ মন্ত্রীকে আদালতে তোলার সময়ে সিবিআইয়ের আইনজীবীদের বলতে দেওয়া হয়নি বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা ঠিক নয়। তাঁদের দাবি, পরিবহণ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ব্যাখ্যা করার মতো তথ্য সিবিআইয়ের আইনজীবীদের হাতে ছিল না বলেই তাঁরা বলতে পারেননি।

তাঁদের আরও অভিযোগ, কেন্দ্র চক্রান্ত করে মমতা বন্দ্যোপাধায়কে হেনস্থা করার জন্য সিবিআইকে ব্যবহার করছে। বৈশ্বানর বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে খাঁচার তোতাপাখি বলেছেন। যতদিন না পযর্ন্ত সঠিক বিচার পাচ্ছি তত দিন প্রতিবাদ চলবে।” ধর্নার শেষে পাকিস্তানে জঙ্গি হানায় নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশে মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে ধর্না শেষ হয়।

ময়দানে ধর্না যখন শেষ, তখন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পথে নামেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু ও তাঁর অনুগামী তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেত্রী দোলা সেন। তাঁদের নেতৃত্বে ভিআইপি রোডের কেষ্টপুর থেকে কৈখালি পর্যন্ত মিছিল হয়। মিছিলের পরে সমাবেশে পূর্ণেন্দুবাবুর অভিযোগ, “কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলার সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে কেন্দ্র সিবিআইকে ব্যবহার করছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement