আর বিলম্ব নয়, বার্তা বিমানের

তিন বছর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করার পর এ বার যে আন্দোলনের ধার বাড়ানো হবে, এ বার তা স্পষ্ট করে দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল এবং নরেন্দ্র মোদীর বিজেপির মোকাবিলায় আন্দোলনের সুর চড়ানো ছাড়া যে পথ নেই, তার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন বিভিন্ন স্তরের বাম নেতারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৪ ০২:৩০
Share:

তিন বছর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করার পর এ বার যে আন্দোলনের ধার বাড়ানো হবে, এ বার তা স্পষ্ট করে দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল এবং নরেন্দ্র মোদীর বিজেপির মোকাবিলায় আন্দোলনের সুর চড়ানো ছাড়া যে পথ নেই, তার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন বিভিন্ন স্তরের বাম নেতারা। বৃহস্পতিবার কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের লালবাজার অভিযানের আগে বিমানবাবুও সেই বার্তাই দিয়েছেন। এ দিনই বামফ্রন্টের বৈঠকে সেই মর্মেই কর্মসূচি গৃহীত হয়।

Advertisement

ফ্রন্টের বৈঠকের পরে বিমানবাবু জানান, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে এবং মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সেপ্টেম্বর মাসের গোড়ায় রাজ্য জুড়ে প্রচার-আন্দোলনে নামবে বামেরা। প্রচার আন্দোলনের পরে প্রত্যক্ষ আন্দোলনে নামা হবে। তার আগে ১ সেপ্টেম্বর সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী দিবসে মৌলালির রামলীলা উদ্যান থেকে উত্তর কলকাতার দেশবন্ধু পার্ক পর্যন্ত মিছিল হবে। সেই মিছিলে সিপিআই (এম এল) লিবারেশন এবং এসইউসি ছাড়াও কয়েকটি নকশালপন্থী সংগঠন যোগ দিতে পারে বলে বিমানবাবু জানান। পরে ধর্মতলায় বামেদের ২৪ ঘণ্টার অবস্থান-কর্মসূচির শেষে বিমানবাবু বলেন, “সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত প্রচার আন্দোলন চলবে। পরে অন্য আন্দোলন হবে।”

এ দিন সন্ধ্যায় কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের লালবাজার অভিযানের সূচনা করেন বিমানবাবুই। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট ও প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিটের সংযোগস্থলে পুলিশের ব্যারিকেড লালবাজারমুখী বাম মিছিল আটকে দেয়। নেতাদের সঙ্গে পুলিশের তর্কাতর্কি হয়। আন্দোলনকারীরা বসে পড়েন। মহম্মদ সেলিম বলেন, “পুলিশের সঙ্গে আমাদের কোনও যুদ্ধ নেই। আমাদের লড়াই আপনাদের হুজুরের বিরুদ্ধে। যাঁরা জো হুজুরি করছেন, মানুষের ঘৃণা তাঁদের উপরেও নেমে আসবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement