হুমায়ুন কবীর
শনিবার ছুটির দিনেই তড়িঘড়ি বদলি করে দেওয়া হল মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীরকে। এ দিন নবান্ন থেকে জারি করা নির্দেশিকায় হুমায়ুনকে ‘অফিসার অন কম্পালসারি ওয়েটিং’-এ (পদ নেই, তাই কাজও নেই, শুধুই হাজিরা দেওয়া) পাঠানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (ডিডি) সি সুধাকরকে।
কেন এই বদলি? সরকারি ভাবে জানানো হচ্ছে, মুর্শিদাবাদে হুমায়ুনের আড়াই বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে। তাই নিয়ম মেনেই বদলি করা হয়েছে তাঁকে? কিন্তু কেন অফিসার অন কম্পালসারি ওয়েটিং? এর অবশ্য সদুত্তর মেলেনি নবান্নে। প্রশাসনের একাংশ বলছেন, লোকসভা ভোটের আগে যে ক’জন পুলিশ অফিসারকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল নির্বাচন কমিশন, হুমায়ুন ছিলেন ওই দলে। কমিশনের নির্দেশ মেনে তখনকার তাঁকে বদলি করা হয় সিআইডি-তে। নির্বাচন মিটে গেলে হুমায়ুনকে ফের মুর্শিদাবাদের এসপি-র দায়িত্ব দেয় রাজ্য সরকার।
কিন্তু তার চার মাসের মধ্যে এমন কী হল যে সরানো হল হুমায়ুনকে, প্রশ্ন উঠেছে নবান্নেই। প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, এসপি হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে মুর্শিবাদের তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবীরের বিবাদ সর্বজনবিদিত। এসপি-র বিরুদ্ধে নেতা হুমায়ুন একাধিক বার অভিযোগ জানান তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। সেই নালিশ ধোপে টেকেনি। কিন্তু লোকসভা ভোটে মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের ফল ভাল না-হওয়ায় শাসক দলের অন্য অংশের সঙ্গেও এসপি-র তিক্ততা তৈরি হয় বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। প্রশাসনের অন্য একটি অংশ বলছে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণ-কাণ্ডের পর সেই সংক্রান্ত তদন্তে হুমায়ুনের ভূমিকা প্রশাসনের অনেকেই ভাল চোখে দেখেননি।
হুমায়ুনের বিরুদ্ধে সম্পত্তি সংক্রান্ত কিছু অভিযোগ জমা পড়েছিল বলেও একটি সূত্রের খবর। তার ভিত্তিতে ভিজিল্যান্স তদন্তও চলছিল। জেলায় হোমগার্ড নিয়োগ নিয়েও অভিযোগ ছিল ওই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে।